ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অধ্যয়নরত কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’। নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ ও সদস্য সচিব হিসেবে একই বর্ষের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত শিশির রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র ১১৬ নং কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। এসময় একটি আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা- কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেসমিন আক্তার ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়াও নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন ।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক ইমন, যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন হোসেন, চন্দন আলী, সুলতান মাহমুদ, হুমায়রা কবীর মহুয়া ও জান্নাতুল ফেরদাউস অবন্তি। এছাড়াও সদস্য হিসেবে শাকিব হোসেন, আলী নেওয়াজ শরীফ, মাহমুদুর রহমান সৌরভ, শাহরিয়ার নাফিজ নাইয়্যান, মো.প্রিন্স, তাসনিম হাসান তাপ্তি, নিশাত আক্তার, তাহসীন খান, হাবিবা সরকার, সাবিত আল ফায়েজ, তন্ময় হোসেন সুমাইয়া সুলতানা বিথি, আলিনুর রহমান এবং শাওন আলী।
নব গঠিত কমিটির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া হতে আগত সকল শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে। বাহিরের জেলা হতে আগত শিক্ষার্থী দের সাহায্য সহযোগিতা করবে এবং প্রশাসন চাইলে আমরা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমুলক কাজে সহযোগিতা করব।’
সদস্য সচিব শান্ত শিশির বলেন, ‘ক্যাম্পাসের শুরু থেকেই মাথায় আসতো সকল জেলার শিক্ষার্থীরা একসাথে সামাজিক সাংস্কৃতিক কত আয়োজন করে, আমাদের কুষ্টিয়ার এমন কোনো প্লাটফর্ম কেনো নেই! সেই চিন্তা থেকেই কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে আমাদের এই পথচলা, আজকে যেটা পূর্ণতা পাচ্ছে। আমার কাছে এটা কোনো কল্যান সমিতি নয়, আমি মনেকরি এটি আমাদের এক ঐক্য, আমাদের এমন এক সমন্বিত প্লাটফর্ম যা কুষ্টিয়ার শিক্ষার্থীদের সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতা সাধনের পাশাপাশি পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি স্থাপন করবে। আমাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টাই একযোগে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।’
সংগঠটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান বলেন, ‘আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটতম প্রতিবেশি। নিজের জেলার প্রতি আমাদের একটি বিশেষ অনুভূতি কাজ করে। যে জন্য অনেক দূর দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এসে এক প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। যারা বাহিরে থাকে তারা জেলা ছাত্র কল্যাণের প্রয়োজনীয়তা বোঝে। কিন্তু আমার যারা আশেপাশে থাকি তারা ঠিক অতোটা অনুভব করি না। যে কারণে আমাদের একত্রিত হবে অনেক সময় লেগে গেলো। আজ এখানে ৫০ জন আছে খুব শীঘ্রই এই জায়গা ৫০০ জনে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সংগঠনটির একটি গঠনতন্ত্র আছে, সে অনুযায়ী এটি পরিচালিত হবে। সকলে ফ্রম পূরণের মাধ্যমে সংগঠনে যুক্ত হবে। এটি একটি সম্পুর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। যেখানে ভালো শিক্ষার্থীদের সব সময়ই গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। এটি কোনো ব্যক্তির কল্যাণ নয়, এটি একটি গোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে যাবে।’