ববি:
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ (শেবাচিম) বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচ তলায় সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।এসময় তারা শের-ই-বাংলা মেডিকেলসহ সারা বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে দুর্নীতি,অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলেন।
এবং তাদের বিরুদ্ধ করা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজদের উৎখাত করা হলেও বর্তমানে আবার সেই জায়গা অন্যান্য পক্ষরা দখল করে ফেলেছে। ফলে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শর্মিলা জামান সেজুতি বলেন,“আমরা আপনাদের জানাতে চাই, শের-ই-বাংলা মেডিকেলে নতুন করে ৯০টি মেশিন সচল হয়েছে। আপনারা যদি এখন শের-ই-বাংলা মেডিকেলে যান, তাহলে দেখবেন রুমগুলো এবং ফ্লোরগুলো কতটা পরিষ্কার ও সুন্দরভাবে রাখা হয়েছে।
আমি প্রথমেই বলতে চাই, যারা বলেছে আমাদের আন্দোলনটা অযৌক্তিক—শেবাচিম সংস্কারের আন্দোলন অযৌক্তিক—তাদের আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। শেবাচিম সংস্কারের জন্য আমরা যে আন্দোলন করছি, এটা শুধু আমাদের জন্য নয়; বরং আমাদের এবং আপনাদের সবার জন্য।” গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বলেন, “যেকোনো শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিতেই পারে।
কিন্তু স্মারকলিপি দিতে গিয়ে যদি হামলার শিকার হতে হয়, তাহলে এটি সত্যিই একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা বিগত ফ্যাসিবাদের আমলে যা দেখেছি, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সেটি আর দেখতে চাই না।” সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেলসহ সারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। এছাড়া প্রতিবাদের জন্য যখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা যায়, তখন তাদের ওপর হামলা করা হয় এবং তারাই আবার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। আমরা চাই, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ওপর যে প্রহসনমূলক মামলা করা হয়েছে, সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। এবং এই মামলার সম্পূর্ণ দায়ভার প্রশাসনকে বহন করতে হবে।