(নোয়াখালী- প্রতিনিধি -মোহাম্মদ শহিদ):
নোয়াখালী জেলার কবির হাট থানার অফিসার ইনর্চাজ শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক ও পেশাগতভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে স্বার্থলোভী একটি কুচক্রী মহল। বাংলাদেশ পুলিশের একজন মেধাবী, সৎ ও পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর প্রতি এই অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র। এতে কবির হাট উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তীব্র নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
কবির হাট থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি শাহিন মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই পেশাগত দক্ষতা, সততা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উপজেলার মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়ে আসছেন তিনি। জুলাই আন্দোলনে ৫ ই আগস্টের পর সারা দেশে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ছিল, তারা ধারাবাহিকতায় কবিরহাটে একই অবস্থা ছিল। খুন ধর্ষণ চাঁদাবাজি বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে চলছিল এই কবির হাট উপজেলায়।
কিন্তু ওসি শাহিন মিয়া কবির হাট থানায় যোগদান করার পর পাল্টে যায় কবিরহাট উপজেলার চিত্র। কঠোর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছেন ওসি শাহিন মিয়া।অল্প কিছু দিনের মাঝে কবির হাট উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসেন তিনি। অপরাধীদের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ওসি শাহিন মিয়া তার নেতৃত্বে কবির হাট উপজেলায় অস্থিরতা দূর হয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারছে এই উপজেলার সাধারণ মানুষ। অপরাধী যে দলের হোক না কেনো তার কাছে অপরাধীর পরিচয় সেই একজন অপধারী।
এই উপজেলার মানুষ যখন শান্তিতে গভীর ঘুমে ঘুমাই তখন সারা রাত জেগে পাহারা দেয় এই উপজেলার মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে পুলিশ প্রশাসন। ওসি শাহিন মিয়ার নেতৃত্ব ধারা পড়ে কবির হাট উপজেলায় ডাকাত দলের বড় একটি চক্র। রড় বোঝাই করে ট্রাক সহ কুমিল্লা থেকে ছিনতাই করে কবির হাট উপজেলা বসুর হাট থেকে কবির হাট সড়কের পাশে ড্রাইভার হেলপার এর হাত পা মুখ বেঁধে সড়কের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা, রাত তখন সাড়ে ১২টা ওসি শাহিন মিয়া অভিযানে বাহির হয় তখন দেখতে পাই হাত পা বাঁধা সড়কের পাশে গাড়ি থামিয়ে তাদের উদ্ধার করে জানতে পারে ডাকাত দলের সদস্যরা রড় সহ ট্রাক ডাকাতি করে পালিয়ে যাচ্ছে।
তাৎক্ষণিক কবির হাট থানার সকল পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন উপজেলার প্রতিটি সড়কে চেকপোস্ট বসানোর জন্য ডাকাত সহ গাড়ি উদ্বার করার জন্য,সাথে সাথে নোয়াখালীর সকল থানা কে অবগত করেন তিনি। ড্রাইভার হেলপার থেকে জানতে পারে ট্রাকের মালিকের বাড়ি ঝিনাইদহ তাৎক্ষণিক ঝিনাইদহ এর থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করে ট্রাক মালিকের এর সাথে যোগাযোগ করেন ওসি শাহিন মিয়া , ট্রাক মালিক জানান আমার গাড়িতে জিপিএস আছে লোকেশন দেখে রাতের মধ্যে রড়সহ ট্রাক উদ্ধার করেন পুলিশ।
কিন্তু হঠাৎ ডাকাত দলের সদস্য সুজনের সাথে ওসি শাহিন মিয়া একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হয়। ছবিটি নিয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায় ওসি শাহিন মিয়া কবির হাট থানায় যোগদান করা পর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন সেই সাথে সুজন ও আসেন। পরিচয় থাকার পরে ও ছাড় দেন নি সুজন কে ওসি শাহিন মিয়া।
শুধু তাই নয় কবির হাট থানায় দালালদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়া, বিভিন্ন তদবির নিয়ে সুপারিশ করতে আসতে একটি স্বার্থলোভী কুচক্রির মহল, তাদের স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে ওসি শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে লেগে পড়েন মহলটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাধ্যমে জানা যায় মাদক, চুরি দখলবাজি, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে আছে একটি মহল, বিভিন্ন অভিযানে ধরা পড়ে কুচক্রির মহলের সদস্যরা তাদের ছাড়াতে ওসি শাহিন মিয়ার কাছে বিভিন্ন ভাবে তদবির নিয়ে আসে, জঘন্য অপরাধীদের জন্য কিন্তু ওসি শাহিন মিয়া তাদের তদবির রাজি না হাওয়ার কারণে ওসি শাহিন মিয়া কে বিকৃত করতেছে।
ফলে তাঁকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অপপ্রচারের মাধ্যমে হেয় করার অপচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ এবং বিকৃত তথ্যের মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে উদ্যত হয়েছে ওই মহলটি। স্থানীয় সচেতন নাগরিকর সমাজ এই ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ওসি শাহিন মিয়া একজন নিষ্ঠাবান ও জনবান্ধব কর্মকর্তা। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারমূলক প্রচারণা আইনশৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচারবিরোধী একটি ঘৃণ্য কাজ।