ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর অভিযানে তালাশখ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক মুনজুরুল করিমের কফিশপ ‘ওরোমো’-তে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে গুলশান-২-এর ল্যান্ডমার্ক সেন্টারে দোকানটিতে এ ঘটনা ঘটে।
মুনজুরুল করিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন, গুলশানের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে চলা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো অক্ষত থাকলেও নিয়ম মেনে পরিচালিত বৈধ কফিশপে হঠাৎ অভিযান চালানো হয়েছে।
মনজুরুল লেখেন, গুলশান-২ এ রংপুর চায়ের দোকান আর বার্গার কিং-এর গলিটা গুলশানের গুলিস্তান। ফুটপাত থেকে শুরু করে রাস্তা পর্যন্ত দখলে চলে গেছে, অথচ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো নজর নেই। কিন্তু আজ সব নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করা একটি কফিশপে অভিযান চালানো হলো। যারা রাস্তা আর ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে তাদের দিকে ফিরেও তাকালো না।
এমন ঘটনার পেছনে ব্যক্তিগত স্বার্থ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও লেখেন, এমন কাণ্ডের কারণ কী অনুমান করতে পারেন? কার স্বার্থে? নাকি কোনো চাওয়া আছে? আমরা এর ভেতরের তথ্য বের করার চেষ্টা করছি।
যোগাযোগ করা হলে মুনজুরুল করিম বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে তিন পার্টনার মিলে খুব সুনামের সঙ্গে কফিশপটি চালাচ্ছি। এটি ল্যান্ডমার্ক সেন্টারের ১ নম্বর দোকানে অবস্থিত, আর দোকানটির পজিশনের মালিকও এই ব্যবসার অংশীদার। তিনি অভিযোগ করেন, ওরোমোর আশপাশে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকা সত্ত্বেও সেগুলো উচ্ছেদ না করে বৈধ দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কিছু সরঞ্জাম জব্দ করেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হয়তো কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রতিশোধ নেয়া হলো কিনা, সেটি খতিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, এটি সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের অংশ। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান। তিনি বলেন, ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখা হয়েছিল এবং সেড দেয়া হয়েছিল।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসলাম বিশ্বাস বলেন, দোকানের সামনের পুরো ফুটপাত সিটি করপোরেশনের জায়গা নয়, অধিকাংশই মার্কেটের নিজস্ব জায়গা। সেই অংশেই দোকানের মালামাল ও সেড করা হয়েছে। এর আগেও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, যা পরে সমাধান হয়। কিন্তু আজকের ঘটনা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মবহির্ভূতভাবে করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশেপাশের অনেক ভবনেই স্থায়ী সেড দেয়া রয়েছে। সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি এই সড়কে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করলেও কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।