গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ব্রিটিশ আমলের ধাতব মুদ্রার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যমকুমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো.গফুর খান ওরফে ছকুসহ (৬৫) একাধিক ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্যরা হলেন- মোছা. অজিফা বেগম (পশ্চিম রাজীবপুর), মো. নাজমুল হোসাইন (বজর হলদিয়া, সুন্দরগঞ্জ), মো. শহিদুল ইসলাম (বুজরু), মো. মোত্তালেব মিয়া (পশ্চিম রাজীবপুর), মো.জনাব আলীসহ (মধ্যমকুমেদপুর) আরও অন্তত ৬ জন। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে প্রলোভনে ফেলে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রতারকরা দাবি করতেন, তাদের কাছে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও প্রাচীন ধাতব মুদ্রা রয়েছে, যা বিদেশে বিক্রি করলে কোটি টাকার বেশি পাওয়া যাবে।
এজন্য পরীক্ষার খরচ, প্রক্রিয়াজাতকরণসহ নানা অজুহাতে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকারও বেশি সংগ্রহ করে। প্রতারণার অংশ হিসেবে প্রতিটি সদস্যকে ১–২ কোটি টাকা, বিদেশে হজে পাঠানো এবং গ্রিন কার্ড প্রদানের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়। অভিযোগকারীরা জানান, এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সম্পাদিত হয়েছে। পাশাপাশি কল রেকর্ড, চুক্তিপত্র এবং স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ একাধিক প্রমাণও সংযুক্ত করা হয়েছে।
দীর্ঘ চার বছর ধরে গোপনে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে নাটকীয় কায়দায় প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে চক্রটি। গত ১৬ আগস্ট বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।