নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় কাকন আহমেদ (২৮) হত্যা মামলায় আসামি হুমায়ুন কবীরকে (২৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব। তিনি এ হত্যা মামলা ৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
ভুক্তভোগী কাকন আহমেদ পূর্বধলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় গৌরীপুর রেল স্টেশনে পয়েন্টম্যান পদে কর্মরত ছিলেন।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪(সিপিএসসি) এর অধিনায়কের পক্ষে র্যাবের মিডিয়া অফিসার এতথ্য জানান।
এরআগে গত শনিবার বেলা ১২টার দিকে বান্দরবান র্যাব-১৫ (সিপিসি-৩) এর সহায়তায় ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ (সিপিএসসি) বান্দরবান জেলার সদর থানাধীন উজানীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হুমায়ুন কবীরকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, গত ঈদুল আযাহার পরের দিন (২ এপ্রিল) জাওয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছেলেদের সাথে এই হত্যা মামলা এক নম্বর আসামি আব্দুর রহিমের সাথে ঝগড়া হয়। আব্দুর রহিমের ধারণা এ মামলার স্বাক্ষী মো. আব্দুল মোমেনের ইন্ধনে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে কিছুদিন পর আব্দুল মোমেনকে এ মামলার আসামি আব্দুর রহিম, মো. আব্দুলি রশিদ ও মো. কালাচান মিয়া ওরফে কালামগণ মারধর করেন। মামলার স্বাক্ষী আব্দুল মোমেন ভুক্তভোগী কাকনের বন্ধু হওয়া তাকেও শাসাই।
পরবর্তীতে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হলেও মামলার আসামিরা মনে মনে খুব ক্ষোভ পোষন করে রাখেন। গত ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি থাকায় কর্মস্থল থেকে ভুক্তভোগী তার নিজ বাড়িতে আসেন। ৬ আগস্ট পার্শ্ববর্তী গ্রামে রুবেল মিয়ার মৎস্য খামারে মাছ ধরে ফেরার পথে রাত্র আনুমান দেড় ১টার দিকে সাক্ষী খেলন মিয়ার বাড়ির পূর্ব-উত্তর কোণে কাঁচা রাস্তায় আসিলে আসামিরা দেশী অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগী কাকনের ওপর অতির্কিত হামলা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তা ভুক্তভোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাকনের মৃত্যু হয়।
গত ১২ আগস্ট এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভগ্নিপতি পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ (সিপিএসসি) ছায়া তদন্তসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে লক্ষ্যে কার্যক্রম ও তৎপরতা শুরু করে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বান্দরবান জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।