মোঃ মহিবুল, পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পল্লী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের উপর হামলার ঘটনায় কৃষক দলের সহ-সভাপতি কে ২৫ বেত্রাঘাত সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ৪টার সময় পাথরঘাটা উপজেলার রূপদোন আমিরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসম্মুখে এই রায় কার্যকর করা হয়।
সালিশ বৈঠকে অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শাপলা কাঁঠালতলী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নাসির উদ্দিন সিকদার সহ অনেকে।
সালিশ বৈঠকে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মোঃ ফারুক এই রায় ঘোষণা করেন। শিক্ষকের উপর হামলাকারী পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস মুন্সী।
চৌধুরী মোঃ ফারুক জানান, গত ৪ জুলাই ইদ্রিসের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের কাছে যায় তাকে বাড়িতে এনে ইদ্রিসের মাকে এবার দেওয়ার অনুরোধ করলে পল্লী চিকিৎসক অপারগতা জানায়। এ সময় ইদ্রিস মুন্সী লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে কৃষ্ণ হালদারের দুই হাত ভেঙে দেয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে গরিবের ডাক্তার নামে পরিচিত কৃষ্ণ হাওলাদারের ওপার হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা হলে থানা পুলিশ সন্ত্রাসী ইদ্রিসকে আটকের ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। বিষয়টি বিএনপি’র দলীয় পর্যায়ে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায়। বরগুনার দুই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি বিষয়টি কঠোর বিচারের নির্দেশনা দিয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক ডাকেন।
বিজয় কৃষ্ণ জানান, ইদ্রিসের পরিবারের সবাই আমার ছাত্র। সে ভুল স্বীকার করেছে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে। এতেই আমি বিচার পেয়েছি। আমার ছাত্র হিসেবে তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ মেহেদী হাসান জানান, ইদ্রিসের নামে অনেক অভিযোগ। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। সালিশ ব্যবস্থা যতই হোক আমাদের আইনের কাজ চলবে। আপস মীমাংসা হলে ওটা আদালত বুঝবে।
ইদ্রিস মুন্সি জানান, কাজটি করা আমার নেহাত অন্যায় হয়েছে। আমি ভুল স্বীকার করেছি। বিএনপি নেতারা এ ব্যাপারে সালিশ ডেকে মীমাংসা করে দিয়েছে।