নতুন বছর ২০২৫ নতুন সরকারের দু-চারটি কথা বলতে চাই ঝালকাঠি জেলা শহরের মানুষের জন্য এ বছরটি বড় প্রাপ্তি ও সমস্যা সমাধানের। বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসন চলছে। আজকে প্রতিটি মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি মনে করি সুগন্ধা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি পুরানো শহরটি বৃটিশ আমলে দ্বিতীয় কলকাতা হিসাবে পরিচিত ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে শহরটি আরও কিছু উন্নতির আশা করে। আগামী দিনে নদী সংলগ্ন জেলা শহরটিকে অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা করে পর্যটনের জন্য অনেক আকর্ষণীয় স্পট আছে যেমন- শীতলপাটি, গামছা আরও রয়েছে পেয়ারা বাগান কথায় আছে যদি খান ঝালকাঠির পেয়ারা বদলে যাবে চেহারা, প্রেম করবে মেয়েরা। এই সকল স্পটগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তাই যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে প্রবাসী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বিনিয়োগের মাধ্যমে ঝালকাঠি সুতালড়ি ব্রীজের পশ্চিম দিকে বিশ্ব রোডের পাশে ঢাপর মৌজায় ১১.৮ একর জমির উপর বিসিক শিল্প নগরীর কাজ চলিতেছে। যাহা ঝালকাঠির জন্য শুভ বার্তা বয়ে আনতে পারে। বিসিক নগরীতে শিল্প কলকারখানা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পক্ষান্তরে ব্যাংকের উচ্চ সুদের বিনিয়োগের বড় প্রতিবন্ধকতা। তাই অর্থনৈতিক জোনের আওতাধীন থাকলে সরকার উন্নয়নের লক্ষ্যে শূন্য থেকে আড়াই দশমিক ব্যাংক সুদে যন্ত্রপাতি, গৃহ নির্মাণ ১৫ বছরের জন্য করমুক্ত সুযোগ দেয় তাহা হইলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হইবেন। তখন সুগন্ধা নদীর তীরে পর্যটন শিল্পের আওতায় আবাসিক/অনাবাসিক ভবন নির্মাণ, ঔষধ প্রস্তুত কারখানা, লবন প্রস্তুত কারখানা, ওপসোনীন কোম্পানীর একাধিক শাখা, জাহাজ ভাঙ্গা ও জাহাজ নির্মাণ কলকারখানা হইতে পারে। শহরটি পাবে আকাশ ছোঁয়া উন্নয়ন। গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের মুখে আনন্দ হাসি ফুটে উঠবে।
লেখক
কবি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন
সভাপতি, প্রগতি লেখক সংঘ
ঝালকাঠি।