সফল আত্মকর্মী ক্যাটাগরিতে ১২ এবং যুব সংগঠক ক্যাটাগরিতে ৪ জনসহ মোট ১৬ জনকে জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৫ প্রদান করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
‘প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বের অগ্রগতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সাম্য, নাগরিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে দেশের তরুণ প্রজন্ম। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রযুক্তি হবে মূল চালিকা শক্তি।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেমিকন্ডাকটর শিল্পের সম্ভাবনা যাচাই ও উন্নয়ন, ইন্টারনেট খরচ কমানো, আধুনিক আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ, স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম তৈরিসহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি খাতে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি ই-স্পোর্টসকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং দেশের ই-স্পোর্টস খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরির কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশই ৩৫ বছরের নিচে। এই তরুণ শক্তিই আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ ও শক্তি। সরকার এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, ঋণ ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অধিদপ্তর সৃষ্টির পর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৭০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৫০১টি উপজেলায় মোট ৮৩টি ট্রেডে প্রায় ৭৪ লাখ তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। বিভিন্ন ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ তরুণ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, যুব সমাজের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ইমপ্যাক্ট প্রকল্প, ভ্রাম্যমাণ আইসিটি প্রশিক্ষণ, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্প, যানবাহন চালনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রকল্প।
তিনি বলেন, ইএআরএন ( ইকোনমিক একসিলারেশন এন্ড রিসাইলেন্স ফর এনইইটি- নন-এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট, অর ট্রেনিং) প্রকল্পের আওতায় ৯ লাখ যুবক ও যুব নারীকে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও অটোমেশন বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ ভিত্তিক আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প দ্রুত চালু হতে যাচ্ছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. গাজী সাইফুজ্জামান।