নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় মানবতার সেবায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম করছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনা খরচে গরীব অসহায় রোগীদের চিকিৎসা দেবার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত পাঁচ ধাপে দুই শতাধিক রোগীর চোখের ছানি অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে মোট ২০৭ জনের অপারেশন সম্পন্ন হয়।
রবিবার (১০ আগস্ট) ৬ষ্ঠ ধাপে আরো ৪৭ জনকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই ছানি অপারেশন করা হবে। রোগীদের মধ্যে ২৩ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষ রয়েছেন।
সমাজের এই বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, যারা প্রায় অন্ধত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন তারা কায়সার কামালের এই মানবিক কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে আবারো চোখের আলো ফিরে পাচ্ছেন। ছানি অপারেশন সম্পন্ন হওয়া ব্যক্তিরা আবারো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও কাজকর্ম করতে পারছেন।
নিজ অর্থায়নে এই রোগীদের চক্ষু চিকিৎসা দেবার পাশাপাশি তাদের খাওয়াদাওয়া, ঔষধ,যাতায়াত সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য যাবতীয় খরচও বহন করছেন কায়সার কামাল।
স্থানীয় সূত্র জানায়,’আর্তমানবতার সেবায় বিএনপি’ এই ভাবনাকে উপজীব্য করে কায়সার কামাল সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করছেন। তার মানবিক উদ্যোগে হতদরিদ্র মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হচ্ছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোণা গ্রামে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা ৯৩২ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে রোগীদের চোখের অপারেশন করা হয়।
দুর্গাপুরের ভুলিগাঁও গ্রাম থেকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য আসা রোগী আব্দুল আলী বলেন,অনেকদিন ধরেই চোখে ছানি পড়েছে। আর্থিক সংকটে অপারেশন করতে পারিনি। কায়সার কামালের সহযোগিতার মাধ্যমে আমার চোখের অপারেশন হবে। আজ ময়মনসিংহ যাচ্ছি।
অপর রোগী আমেনা খাতুন বলেন,বড় হাসপাতালে গিয়ে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করা সম্ভব না। অনেক খরচের ব্যাপার। তাই এতোদিন চোখের চিকিৎসা করাতে পারিনি। এবার কায়সার ভাই আমাদের মতো গ্রামের সাধারণ মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ভজন চন্দ্র সরকার বলেন,বহুদিন ধরে চোখের অসুখে ভুগলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। তবে এবার কায়সার ভাইয়ের উদ্যোগে চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা হলো। সুস্থ হয়ে আবার কাজকর্মে ফিরতে পারবো।
মানবতার সেবায় এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।