ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক ওবাইদুল হক। তিনি বিভাগের সদ্যবিদায়ী সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শিরিনা খাতুনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ওই দিন বেলা ১২ টার দিকে বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে নতুন সভাপতির নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
অফিস আদেশ সূত্রে, গত ৫ আগস্ট শিরিনা খাতুনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৬ আগস্ট থেকে ওবাইদুল হককে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সংবিধির সংশোধিত ১০(১) ধারা অনুযায়ী তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। আগামী ৩ বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া এই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি নিয়ম অনুযায়ী সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে অফিস আদেশে একান্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় শিরিনা খাতুনকে ধন্যবাদ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নতুন সভাপতিকে বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি ও বিভাগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. রাকিবা ইয়াসমিন। এ ছাড়া লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুর ইসলাম, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিকা কাফি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ফিরোজ আল মামুন ও সহকারী অধ্যাপক রিপোনুজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সদ্যবিদায়ী সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শিরিনা খাতুন বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী ও পজিটিভ মানুষ। বিভাগের সভাপতি থাকাকালীন সবার সহযোগিতা পেয়েছি। সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছে বলেই বিভাগ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিভাগে কোনো সেশনজট নেই এবং সামনেও এটা অব্যাহত থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।’
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ওবাইদুল হক বলেন, ‘আমাদের বিভাগের সবাই কো-অপারেটিভ। আমরা এখানে সবাই মিলেমিশে কাজ করি। আমার প্রত্যাশা, এই বিভাগটা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা রোল মডেল হিসেবে দাঁড়িয়ে যাক । এ জন্য একসাথে মিলেমিশে কাজ করবো যাতে আগামী তিন বছরে এই বিভাগটি রোল মডেল হয়, সবাই যেন আমাদের অনুসরণ করে। সেই হিসেবে আমরা নিজেদের তৈরি করতে চাই। কতটুকু পারবো, জানি না। সকলেরই সহযোগিতা কামনা করছি।’