নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র চারটি বিভক্ত গ্রুপ চারভাবে পৃথক পৃথক বিজয় র্যালির আয়োজন করে। একই দল, একই উপলক্ষ, একই আদর্শ- তবুও দেখা গেল না কোনো যৌথ কর্মসূচি বা ঐক্যবদ্ধ মিছিল।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব বাবুল আলম তালুকদার ও জেলা বিএনপির সদস্য এস এম শহিদুল্লাহ ইমরান এর নেতৃত্বে পৃথক চারটি বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী’র নেতৃত্বে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ডা. মোহাম্মদ আলী বাসভবন, আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার’র নেতৃত্বে হেলিপ্যাড মাঠ, আলহাজ্ব বাবুল আলম তালুকদার’র নেতৃত্বে পাটবাজার ও শহিদুল্লাহ ইমরান এর নেতৃত্বে রেলওয়ে স্টেশন ঈদগা মাঠ থেকে বিজয় মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল গুলো শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, পূর্বধলায় বিএনপি’র স্থানীয় নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরেই মতপার্থক্য ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বিভক্ত। যার ফলে ‘গণঅভ্যুত্থানের বিজয়’ উদযাপন করতে গিয়ে প্রত্যেক গ্রুপ নিজস্ব ব্যানার, ফেস্টুন ও স্লোগানে আলাদা আলাদা র্যালি বের করে।
প্রতিটি গ্রুপ তাদের কর্মসূচিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিভক্তি দলটির সাংগঠনিক দুর্বলতা ও মাঠপর্যায়ের ঐক্যহীনতার প্রকাশ। একই দিনে একই উদ্দেশ্যে চারটি র্যালি দলের আদর্শের চেয়ে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাকে বড় করে তোলে। এই বিভাজন নিরসন না হলে ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনা আসফল হওয়া কঠিন।
এদিকে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে এ বিভাজন নিয়ে হতাশা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সময় এসেছে অভ্যন্তরীণ বিভেদ ভুলে একতাবদ্ধ হওয়ার।