গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। “ভুক্তভোগীর বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মমিনুর রশিদ সিদ্দিকী অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীদের গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন বলে একাধিক ডিলার অভিযোগ তোলেন।
এদিকে মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবদুল লতিফ প্রধান বলেন আমার নাম কর্তন করে গোপনে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে আরেক জনের নাম ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ তোলেন। এবিষয়ে বক্তব্য জানতে পলাশবাড়ী খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে গেলে সংবাদকর্মীকে নিউজ না করার অনুরোধ খাদ্য কর্মকর্তার তিনি বলেন কম্পিউটার ভুলে এরকম হয়েছে। আর এটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাতে, আমার হাতে নেই।
অন্যদিকে, আবদুল লতিফ প্রধান বলেন গত ৯/০৭/২৫ তারিখে ১৩.০১.৩২৬৭.০০০.৫৭.০১০.২০২৪ নং স্মারকের প্রেক্ষিতে ডিলার নিয়োগ আদেশ মুলে পলাশবাড়ী থানায় যেসব ডিলার নিয়োগ পেয়েছেন সেই মূলে আমার নাম মনোহরপুর ইউনিয়ন ঘোড়াবান্ধা বাজার ডিলার হিসেবে ব্যবসা প্রতিষ্টানের নাম লিপিবদ্ধ আছে যার ক্রমিক নম্বর( -৭), উক্ত আদেশ মোতাবেক পে- অর্ডার হিসেবে গত১৪/০৭/২৫ তারিখে জনতা ব্যাংক পলাশবাড়ী শাখায় ২৫০০০/ টাকাও ২১/০৭/২৫ তারিখে খাদ্যবান্ধব ডিলার লাইসেন্স পাওয়ার নিমিত্তে রুপালী ব্যাংক গাইবান্ধা কর্পোরেট শাখায়-১১৫০/ টাকা জমা প্রদান করি। সব কাগজপত্রসহ উপজেলা পলাশবাড়ী খাদ্যবান্ধব অফিসে গেলে তার কাগজ পত্র নেওয়া হবে বলে জানান,এবং বলেন আপনার নাম কর্তন করা হয়েছে, আপনার পরিবর্তে মেসার্স রাকিব ট্রেডার্স কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
আবদুল লতিফ প্রধানের অভিযোগ আমার ডিলারীপ হওয়া সত্বেও আমার নাম কর্তন করা হয়েছে। তাই এর সুষ্ঠ বিচারসহ ডিলারশীপ বহাল জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। একইসাথে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরও অভিযোগ দেন বলে জানান ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২১ জন ডিলার নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১২টি শর্তারোপ করে আবেদনপত্র জমাদানের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় ২২ ফেব্ররুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৮৮টি আবেদনপত্র জমা পড়ে।
বিজ্ঞপ্তির ২ নম্বর শর্তে উল্লেখ করা হয় প্রত্যেক আবেদনকারীর কমপক্ষে ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের সক্ষমতা ও একটি পাকা গুদামঘর থাকতে হবে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ আবেদনকারীর গুদামঘর এই শর্ত পূরণে অক্ষম ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, যেসব বিক্রয় কেন্দ্রে একাধিক আবেদন পড়ে,সেখানে লটারির মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করার কথা থাকলেও তা অনুসরণ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে,নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মমিনুর রশিদ সিদ্দিকী রাতের আঁধারে তালিকা চূড়ান্ত করে ৯ জুলাই তাতে স্বাক্ষর করেন এবং ১৩ জুলাই তা প্রকাশ করেন।