শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :-
গাজীপুরের শ্রীপরে ব্র্যাক শিখা প্রকল্পের আওতায় আলহাজ্ব ধনাই বাপরী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে বেসড ভায়োলেন্স (জিবিভি) প্রতিরোধে কর্মপরিকল্পনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১টায় আলহাজ্ব ধনাই বাপরী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্রাক শিখা প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাক শিখা প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দ, ব্র্যাক এর পক্ষথেকে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলার শিখা প্রকল্পের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মোঃহাবিবুর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, ভলান্টিয়ার ফারহানা তাজনীন ও মুহসিনা আক্তার সহবিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
ব্র্যাক – শিখা “প্রতিরোধ এবং সহায়তা ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা, বুলিং এবং যৌন হয়রানী মুক্ত পাবলিক এবং প্রাইভেট স্পেস তৈরি করা”- এই প্রকল্পটি ‘ইউরোপীয় ইউ নিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত। চার বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে জানুয়ারি ২০২৯ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটি গাজীপুর,রাজশাহী ,ঢাকা,নারায়নগঞ্জ,বরিশাল ও চট্টগ্রাম এই ছয়টি জেলাতে জেন্ডার -ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র এবং অনলাইন প্লাটফর্মে, বিশেষ করে নারী ও মেয়ে শিশুদের যৌন ও জেন্ডার -ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রতিকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ২৫০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে, তৈরী পোশাক কারখানা, গণপরিবহন ও কমিউনিটিতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
মূলত এ সভায় ব্র্যাক শিখা প্রকল্পের মাধ্যমে কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং সমাজে বিদ্যমান নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রতি যৌন হয়রানি, বাল্য বিবাহ, বুলিং- এর মত অপরাধ কমানো যায় সে বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা করা হয়। এ লক্ষ্যে গবেষণালব্ধ তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী এবং বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত সকলের সাথে আলোচনা করে যৌন হয়রানি এবং বুলিং কমানোর উপায় সমূহ প্রকল্পের কর্মসূচীর আলোকে লিপিবদ্ধ করা হয়।
শিখা প্রকল্পটি মূলত গাজীপুর জেলার স্থানীয় সরকার, জন প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের মুখপাত্র ও স্থানীয় সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে জেলায় চার বছরে ৫৫টি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা সহ, গণপরিবহন, তৈরী পোশাক কারখানা, ডিজিটাল প্লাটফর্ম ও কমিউনিটিতে যৌন হয়রানি ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে গণসচেতনতা তৈরি, প্রতিরোধ ও সহায়তা ব্যবস্থা, আইনী সহায়তা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী করনে ভূমিকা রাখবে।