সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের পুরান শাখাইতি গ্রামে ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় অষ্টগ্রাম রাস গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। এখানে ৭টি গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার জন্য আসেন। পড়াশোনার মানও ভালো ছিলো। কিন্তু, বিধি বাম, কর্তা ব্যাক্তি ভালো নয়।’ যার কারণে বিদ্যালয়ে অদ্যাবধি বিজ্ঞান ও কমার্স বিভাগ খোলা যাচ্ছে না। যার কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী কমছে।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ১০ মাস যাবত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় বিদ্য্যালয়ের শিক্ষকরা বেকায়দায় পড়েছেন। বিদ্যালয়ের ই-মেইল পাসওয়ার্ড তার কাছে থাকায় শিক্ষকরা শিক্ষাবোর্ড থেকে আসা কোন নোটিশ বা তথ্য জানতে পারছেন না। গত ১০ ডিসেম্বর এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বারাবরে মোঃ জহির উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি আবেদন প্রধান শিক্ষকের অপসারণ স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে দাখিল করা হয়।
২২ জানুয়ারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ কওে জেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ১০ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ‘অষ্টগ্রাম রাস গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়-এর প্রধান শিক্ষক আবদুস শাহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা-ের অভিযোগ ওঠার পরে তা তদন্ত করার জন্য দাযিত্ব¡
দেওয়া হয়েছিল সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াকে। তদন্তে প্রমানিত হয়, মোহাম্মদ আব্দুস শাহিদ বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায়, অন্যায়ভাবে শিক্ষকদের এমপিও আবেদন স্থগিতকরণ, যথা সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ না করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া স্কুল থেকে দেওয়া বেতন ভাতা ও প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা থেকে বঞ্চিত করেন। এসব অন্যায় ও বৈষম্যমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত। আব্দুস শাহীদের এসব অপকর্মের জন্য তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার গুলেগাঁও গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ আলম দেলোয়ার বলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুস শহীদ বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর বিদ্যালয়ের ঝামেলা শুধু বাড়ছে।
যার কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নিয়মিত পাঠদান করাতে পারছেন না। এলাকার মাগুরা গ্রামের ফারুক মেনর বলেন প্রধান শিক্ষকের এমন স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা প্রধান শিক্ষককের অপসারণ চাই। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন- আমরা এলকাবাসীর দেওয়া অভিযোগগুলো মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি। প্রধান শিক্ষক সেখান থেকে খালাস পেয়েছেন। তারপরও আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখবো। বক্তব্য নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকে ফোন করে পাওয়া যায় নি।