নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় কান্দিউড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের একটি হাওর থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তিনি জেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা মদনের কুলিহাটি পশ্চিমপাড়া আড়গিলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় লোকজন ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
রাসেলের পরিবার জানায়, গত সোমবার (৩০ জুন) দুপুর থেকে রাসেল নিখোঁজ ছিলেন। সঙ্গে তার অটোরিকশা ছিল। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। চারদিন পর বৃহস্পতিবার কেন্দুয়ার জালালপুর হাওর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাসেলের বাবা আবুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার অটোরিকশাটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চান তিনি।
কেন্দুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহটি পচে গলে গেছে এবং বস্তায় ভরা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে হাওরে ফেলে দেওয়া হয়। নিহত যুবকের পরিবার লাশটি শনাক্ত করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, এলাকায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।