বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন বেহালা খাল পুনঃখনন করতে দেখা যায় আষাঢ়ের ভড়া ডুবিতে। প্রকল্পের রীতি-নীতির তোয়াক্কা না করে খালের পারে বসে বেকু দ্বারা উপর থেকে পানির মধ্য থেকে নামমাত্র খনন করা হচ্ছে। নামমাত্র কয়েকজন প্রকল্প সুফলভোগীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যার্থ মৎস্য অফিস।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে কয়েকজন সুফলভোগীদের নাম একাধিকবার ব্যবহার করে পৃথক দুটি প্রকল্প থেকে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অফিস। খাল খনন প্রকল্প স্কিমে খালের গভীরস্থ হওয়ার কথাচ ৮ ফুট। অথচ খালের পূর্ব গভীরস্থ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৬-৭ ফুট। প্রকল্পের স্কিম অনুযায়ী খালের উপরাংশে প্রস্থ ৯০ ফুট এবং তলদেশে ৬৫ ফুট খননের কথা দেখানো হয়েছে। অথচ খালের কোথাও কোথাও উপরাংশে ৯০-১০০ ফুট এবং নিচাংশে ৭০-৮০ ফুট রয়েছে। হাওয়ার ওপর এমন নামমাত্র খাল খনন প্রকল্প দেখে রীতিমতো হতবাক এলাকাবাসী ও কয়েকজন সুফলভোগী।
প্রকল্প সদস্যরা অনেকেই জানে না তাদের কাজ কি, কেনো তাদেরকে সদস্য করা হয়েছে। গ্রামের সহজ সরল ও ভদ্র মানুষদেরকে নামমাত্র সদস্য বানিয়ে সুবিধাভোগী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন ভদ্রলোকের আড়ালে থাকা মুখোশধারী কয়েকজন দূর্নীতিবাজ। স্থানীয়রা জানান, পানির মধ্যে খাল খননের নামে খালের পার খনন এই প্রথম দেখলাম। খাল খননের পূর্ব থেকে এ পর্যন্ত কোনো সাইনবোর্ড ব্যাবহার করা হয়নি।
আমরা কেউ বরাদ্দ সম্পর্কে অবগত নই। মৎস্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নীতিমালা বহির্ভূত কাজ করছে। উপজেলা ও জেলা অফিস থেকে মৎস্য অফিসারগন এসে ঘুরে যাচ্ছে। সম্ভবত তাদের যোগসাজশেই এই ভুতুড়ে খাল খনন হচ্ছে। তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, উপর থেকে কিছু মাটি কাটছে, খালের ভিতরে বর্ষার করণে কাটতে পারছে না। আমরা নিষেধ করার পরও নামমাত্র খাল পূন:খনন করতেছে।
এর পিছনে কিছু অসৎ লোক জড়িত আছে। আমি জেলা মৎস্য কর্কর্তাকে জানিয়েছি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহসীন বলেন, খাল পুন;খনন করার জন্য সেচ দিয়ে কাটতে বলেছি কিন্ত সেচ না দিয়ে তারা বর্ষা মৌসুমে খাল পুন;খনন করছে এটা নীতিমালার বহিভুত। দুইটি প্রকল্পে তিনটি বিল দিয়েছি মানবতার কারণে। বাকি বিল সেচ দিয়ে সঠিক ভাবে খনন না করলে দেওয়া হবে না বলে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।