ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরাম ইবি শাখা। রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ফোরামের সভাপতি আব্দুল মুঈদ বাবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান, জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কে.এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদে ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, জিয়া পরিষদের ইবি শাখা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী ও কমিনিউকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে একটি বিভীষিকাময় অবস্থার পরিবর্তনে কাজ করে গেছেন , সেই কারণেই তিনি একটি সার্বজনীন চরিত্রে পরিণত হয়েছেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে আমরা যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের আলোচনায় যাই, তাহলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাদ দিতে পারবো না। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে তুলে ছিলেন
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সেক্যুলারিজমের নামে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিলো যে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী মনে করত, বাংলাদেশ মনে হয় ইসলামধর্ম শূন্য হয়ে যাবে। এমনই এক প্রেক্ষাপটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে মূল মন্ত্র তৈরি করেছেন, সেটা হলো, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামী মূল্যবোধের সংমিশ্রণ।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আপামর বাংলাদেশের জনগণের আদর্শ। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মুল্যবোধ এই দুটি বিষয়ের সার্বজনীন চরিত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ধারণ করেছিলেন।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন লাইব্রেরিয়ান খন্দকার আব্দুল মজিদ, কর্মকর্তা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও চিকিৎসা কেন্দ্রের টেকনিক্যাল অফিসার ইয়ারুল ইসলাম, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ছাত্র শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক মন্ডল ও সহায়ক কর্মচারী ফোরামের আমিরুল ইসলাম।