মোঃ বাবুল হোসেন, জয়পুরহাট সংবাদদাতাঃ
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য মাস্টার্স শেষ করা বাবা – মার একমাত্র সন্তান, মেধাবী ছাত্র রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (২৩) বাবা-মার স্বপ্ন পুরুন করতে পারলো না । সময়ের হিসেবে আর মাত্র কয়েটা মাস পরেই হয়ত একটা কাজে যোগ দিত সে । বাবা মার চোখে স্বপ্ন একমাত্র সন্তানকে নিয়ে । কিন্ত সেই স্বপ্ন আর পুরুণ হলো না ! মাস্টার্স শেষে বসে না থেকে কোচিং সেন্টারে ক্লাশ নিতে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে গতকাল রোববার ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে খুলনা গামী সীমান্ত ট্রেনে পোড়াদহে স্টেশনে আসেন। পরে সেখান থেকে অটো নিয়ে কুষ্টিয়ার বটতৈলে আসেন। বটতৈল থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য বাস শ্যামলী পরিবহনে উঠে। ড্রাইভারের অসতর্কার কারণে বৃত্তি পাড়ায় ট্রাকের সাথে বাসটির সংঘর্ষ ঘটে। এতে রাশেদুল প্রচন্ডভাবে মুখে ও মাথায় আঘাত পায়। দ্রুত তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রাশেদ আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিল।
এ দূর্ঘটনায় অপর দুই আহত শিক্ষার্থী হেন। তারা হলেন আল ফিকহ এন্ড ল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের আবু নাইম।
রাশেদ পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের ধরঞ্জী মাস্টারপাড়া ও ধরঞ্জী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ওরফে ছলিম মাস্টারের একমাত্র ছেলে।
একমাত্র ছেলে হারানো বাবা মার বুক ফাটা বিলাপে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে ।