নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় জুয়ার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ইদু মিয়া (২০) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হৃদয় ওরফে রিয়াজ (২৫) উপজেলার হাটনাইয়া (বড়বাড়ী) গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে রাতে উপজেলার আদর্শনগর শিবির এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদ ইদু মিয়া নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যা হয়। পরদিন সকালে শিবিরের পাশে একটি স্কুলের পরিত্যাক্ত কক্ষ থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ একটি টিম অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে গত সোমবার উপজেলার ছয়াশী এলাকা থেকে রফিক ওরফে হাবু ওরফে আবু (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে আবু। পরে আদালতে সোপর্দ করা হলেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আবু। এদিকে মঙ্গলবার সকালে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় প্রথমে হাবু ওরফে আবু নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আবু হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পরে হৃদয় ওরফে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে গত মঙ্গলবার আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ঈদের পর তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মোশারফ হোসেন নামে এক যুবকের সাথে অনলাইন জুয়া খেলা সংক্রান্ত আর্থিক বিরোধ ছিলে ইদুর। এরই জেরে ২৬ মে রাতে ইদুকে কৌশলে ডেকে রাইরে ঘরের নিয়ে যায় মোশাররফ ও আবুসহ আরও কয়েকজন। পরে মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে এবং পরে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর ব্যবহৃত অস্ত্রটি ঘটনাস্থলের পাশের একটি বিলে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।