নিজস্ব প্রতিবেদক: আরইবি’র চেয়ারম্যানের অপসারণ, এক ও অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন, চাকরি নিয়মিতকরণ, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, শাস্তিমূলক বদলি বাতিল, পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন- এই সাত দফা দাবিতে সারাদেশের মতো নেত্রকোনার পূর্বধলাতেও কর্মবিরতিতে নেমেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে আংশিকভাবে চালু রাখা হয়েছে গ্রাহকসেবা। তবে বন্ধ রয়েছে নতুন সংযোগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
গত ২১ মে থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা। এরপর ২৫মে আনুষ্ঠানিকভাবে সাত দফা দাবি ও কর্মসূচির ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, দেশের ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্বধলা জোনে লাইনক্রু ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (এমআরসিএম) কর্মীদের বড় একটি অংশ কর্মবিরতিতে রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বধলা পল্লী সমিতির এক কর্মকর্তা জানান, পূর্বধলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২৩ জন লাইনক্রুর মধ্যে ১৭ জন কর্মবিরতিতে আছেন। পাশাপাশি ৩০ জন এমআরসিএম কর্মীর মধ্যে ২৮ জন কর্মবিরতিতে রয়েছেন।
পূর্বধলা জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহিনুর আলম মৃধা জানান, সারাদেশব্যাপী চলমান কর্মবিরতির অংশ হিসেবে পূর্বধলার কর্মীরাও তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে সীমিত সংখ্যক কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।