ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে আইনজীবির বাড়িতে হামলা ভাংচুর করে বসত ঘর দখল করে হুমকী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৩ মে অ্যাডভোকেট এসএম ফজলুল হক তার বেদখল হওয়া বাড়িতে ফিরতে চাইলে ছাত্রদলনেতা সালাউদ্দিন লোকজন নিয়ে কালিবাড়ি রোডে এসে তার ক্ষতি হবে হুমকী দেয়।
এ ঘটনায় বিচার চেয়ে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে অ্যাডভোকেট এসএম ফজলুল হক গত ১ জুন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন রবিবার শহরের কালিবাড়ী সড়কের ২৮৯ নং খাতিয়ানের ১৬/৯৬ দাগে ৮শতাংশ জমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসতেছিলেন এডভোকেট এসএম ফজলুল হক ও তার পরিবার। ওই এলাকার আনছার উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহম্মেদ , জসিম হাওলাদার, নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও অন্যান্য ৪০/৫০জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়া তার বাড়ির মধ্যে জোর পূর্বক প্রবেশ করে তার পরিবারের সদস্যদের মারধর চালায়। তার ঘরের তালা ভাঙ্গিয়া লোকজন নিয়া প্রবেশ করে বাড়িঘর জবর দখল করে।
তাদেরকে বাধা দিলে বসত ঘরে হামলা ভাংচুর চালিয়ে তাদের মারধর করে বাড়িঘর দখল করে তালা ঝুলিয়ে দেয় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দীন আহম্মেদ, জসিম উদ্দিন হাওলাদার ও নাসির উদ্দিন হাওলাদারসহ ৪০/৫০জনের একটি দল। এসময় তাদের হামলায় এডভোকেট এসএম ফজলুল হকের পুত্র এস এম মনিরুজ্জামান ও তার শ্যালক কাজী হাফিজুর রহমান আহত হন। তাদের উদ্ধার করে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
গত ৩০ মে শহরের ফাতেমা কনভেনশন সেন্টারে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু বক্তব্য দিতে গেলে তাকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া বলে শ্লোগান দিয়ে অনুষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করা অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দীন আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দীন আহম্মেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এগুলো সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু বলেন, “৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপরক্ষে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠান চলাকালে জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের এবং ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ সালাউদ্দিন চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যার পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠান এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়।