ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নে জেলে পুনর্বাসনের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সচিবকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ক্ষুব্ধ জেলেরা। সোমবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জেলেরা অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব আহিদুর রহমান চাল কম দেওয়ার পাশাপাশি তালিকাভুক্ত জেলেদের নাম বাদ দেওয়া, চাল বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও অন্যান্য অনিয়মে জড়িত।
তাদের অভিযোগ, প্রতিটি জেলে কার্ডের বিপরীতে চাল বিতরণের কথা ৮০ কেজি করে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অহিদুর রহমান দিচ্ছেন ৬৫-৭০ কেজি। স্থানীয় একাধিক জেলে জানান, “আমরা মাছ ধরা বন্ধ করে সরকারের নির্দেশ মেনে চলছি। কিন্তু এখানে আমাদের হক অনুযায়ী ৮০ কেজির বদলে দেওয়া হয়েছে ৬৫-৭০ কেজি চাল। আমরা এই অনিয়মের বিচার চাই। জেলেরা আরোও জানান, সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম চাল দেওয়া হয় এবং নিয়মিতভাবে চাল বণ্টনে স্বচ্ছতা থাকে না। এমনকি পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হন।
স্থানীয়দের ঘিরে ধরার পর সচিব আহিদুর রহমান পরিষদ ভবনের একটি কক্ষে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আহিদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণ করেছি। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।” এদিকে ইউনিয়নবাসীর দাবি, চাল বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, “চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তালিকাভুক্ত জেলেদেরকে ৮০ কেজি করে চাল দিতে হবে।” এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা সারমিন মিথি বলেন, “সরকার নির্ধারিত পরিমাণ চাল থেকেই জেলেদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ কম দিলে তা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে