টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রতিবেশী চাচা ফরহাদের ধর্ষনে ৬ মাসের গর্ভবতী হয়ে ১৩ বছরের ভাতিজি। এমন অভিযোগ উঠেছে ফরহাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের পচাসারটিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ খানের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন খান (৫৫) প্রতিবেশীর ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে জোড় করে একাধিকবার ধর্ষণ করার ফলে মেয়েটি আজ ২৩ সপ্তাহের গর্ভবতী।
ভুক্তভোগী মেয়েটি জানায়, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে, খালি বাড়িতে আমাকে ঘরে একা পেয়ে মুখ, হাত বেঁধে জোড় করে ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ফরহাদ চাচা বলে, তুই যদি কাউকে এ কথা বলিস তাহলে আমি তোদের ঘরে শিং কেটে এসে খুন করবো।
ভুক্তভোগীর বোন, বাবা-মা জানায়, আমরা অতি দরিদ্র। পেটের দায়ে মানুষের কাজ করে ২টা ভাত খাই। ওর শারীরিক পরিবর্তন দেখে ডাক্তার দেখিয়ে, জানতে পারি মেয়ে ৬ মাসের গর্ভবতী। মেয়েকে চাপ দিয়ে জিজ্ঞেস করা বলে, প্রতিবেশী ফরহাদ চাচা আমার সাথে খারপ কাজ করেছিল। ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমরা নাবালক মেয়েকে ধর্ষনের সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভুক্তভোগীর বাড়ি থেকে ৩শ গজ দূরে প্রতিবেশী মৃত সিরাজ খানের ছেলে ফরহাদ খান (৫৫) কে তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক আসার খবরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষনের বিষয় এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও শিক্ষক মিলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল বলেও অভিযোগ করে এলাকাবাসী।
দরিদ্রতার কষাঘাত ও প্রভাবশালীদের হুমকিতে ভুক্তভোগীর পরিবার এতোদিন মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় পরিবারটি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে পরিবারটি। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত পূর্বক থানায় মামলা দায়ের করে আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রেখেছে নাগরপুর থানা পুলিশ।
ওসি রফিকুল বলেন, আসামি যে-ই হোক তাকে আইনের আওতায় আনবো আমরা। ভুক্তভোগীর থানায় আসতে দেরি হওয়ার বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখবো। যদি কোন মহল বা কেউ তাদের আইনগত অধিকার হরনের চেষ্টা করেছিল কি না, এটাও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। তবে আজ পর্যন্ত ধর্ষনের অভিযুক্ত ফরহাদকে গ্রেফতার করতে পারেনি নাগরপুর থানা পুলিশ।