ইবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়
সহ-সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ বলেন, ‘বিগত ১৭ বছরে ছাত্রদল রাজপথে ছিল, একটি কর্মীও ভাড়া করতে হয়নি। অথচ সেই ছাত্রদলকে অনেকে বলছেন কর্মী ভাড়া করে আনতে হয়। ছাত্রদল যেই ঐতিহ্য ও গৌরবোজ্জ্বল অতীত নিয়ে ধারাবাহিকতার সাথে চলে আসছে আগামীতেও চলে আসবে। আপনারা হয়ত বিভিন্ন নেরেটিভস, বিভিন্ন স্যাটায়ার তৈরি করবেন কিন্তু ছাত্রদলকে কোনো পরাজিতের কাতারে ফেলে দিতে পারবেন না। ছাত্রদল বিজয়ীদের কাতারে ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে।’
মঙ্গলবার (২০ মে) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের
ডায়না চত্বরে শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে সদস্য নবায়ন ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জহির রায়হান বলেন, ‘একটি দল আছে যারা সাম্য, শাওন, পারভেজরা খুন হলে তারা উল্লাসে মেতে ওঠে। তারা বিভিন্ন নেরেটিভস তৈরি করে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রদলের কর্মীদের বলে টোকাই। অথচ গত ১৫ বছর কোনো সংগঠন কিন্তু রাজপথে ছিল না। একমাত্র ছাত্রদল শেখ হাসিনার সমস্ত বাধাকে উপেক্ষা করে সমস্ত আন্দোলন সংগ্রাম যারা চালিয়ে গিয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের সবচাইতে একক সংগঠন হিসেবে ছাত্রদল বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে ছাত্রদল হবে সন্ত্রাসমুক্ত। আগামী প্রত্যেকটি ক্যাম্পাস হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের, শিক্ষার্থীবান্ধব সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস। এই ব্যাপারে ছাত্রদল অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এর আগে ডায়না চত্বর থেকে এক শুভেচ্ছা র্যালি বের করে সংগঠনটি। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তরে এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে র্যালিটি ডায়না চত্বরে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয় তারা।
অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল গফুর গাজী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল ওহাব শাহীন।
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুমিনুর রহমান মুমিন, ওমর ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক, আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন। সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম সৌরভ, রাকিব হোসেন সাক্ষর, মিথুন, উল্লাস মাহমুদ, রুকনুজ্জামান, রায়হানুল ইসলাম টিপু, মেহেদী হাসান, আসাদ তৌফিক, আলামিন, রিফাত, তৌহিদুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি প্রমুখ।