টয়লেটে আটকে রেখে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম আশানন্দ শীল।
এ ঘটনার পরেই স্কুল ত্যাগ করেন ওই শিক্ষক এ রিপোর্ট লিখা আজ পর্যন্ত স্কুলে যাননি তিনি, বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক আশানন্দ শীল ওই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে টেনে টয়লেট নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন তারপর ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে তখন অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে দরজায় ধাক্কা দিলে শিক্ষক দরজা খুলে বেরিয়ে যান।
এসময় ছাত্রীর হাতে ৫০০ টাকা দিতে চান কিন্তু ভুক্তভোগী ছাত্রী টাকাটা ডিল মেরে ফেলে দৌড় দিলে শিক্ষক বুঝতে পারেন বিষয়টি জটিল হয়ে গেছে সে-সময় তিনি তাৎক্ষণিক তড়িঘড়ি করে স্কুলও ত্যাগ করেন। এ ঘটনার পরপরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন ওই শিক্ষক। এদিকে এ ঘটনার বিচার চান ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে থাকলে তাদের সন্তানকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠাবেন বলছেন তারা।
এলাকাবাসী বলছেন এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিবেন না তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী তাদের। আবুল কাশেম নামের স্থানীয় একজন বলেন, ওই শিক্ষক আগেও যে গাঁওকান্দিয়া স্কুলে ছিল সেখানে খারাপ কাজ করার জন্য তাকে সেখান থেকে সরানো হয় পরে সে এই স্কুলে আসে। সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। আবুল বাশার নামের আরেকজন বলেন, এই রকম খারাপ শিক্ষক আমরা আমাদের স্কুলে চাইনা।
সরকারের কাছে অনুরোধ ওই শিক্ষককে সারা বাংলাদেশের কোথাও যেন রাখা না হয়। এমন একজন ব্যক্তির জন্য শিক্ষক নামের শব্দটি যেন কলঙ্কিত না হয়। প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণের কারণে সাম্প্রতি এক ছাত্রী স্কুল ছেড়েছেন জানালেন শরিক নামের ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থী। সে উল্লেখ করে, ওই শিক্ষক মেয়েদের গায়ে হাত দেয় সবসময়।
এমন শিক্ষক তারা চায়না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুল কাদের বলেন, আমরা ওই স্কুলে গিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে সুপারিশ করেছি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নিতে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি ইতিমধ্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষে জানানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে এবং ওই শিক্ষক দোষী হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।