নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে সাত সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন পরিচালনা কমিটি। এই সম্মেলনকে ঘিরে আলাপ আলোচনায় সরগরম দুর্গাপুর। কার হাতে উঠছে নেতৃত্ব, কে হচ্ছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক- এমন প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পর প্রাণ ফিরেছে দেশের রাজনীতিতে। এরই ধারাবাহিকতায় দুর্গাপুরে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলকে সুসংগঠিত করতে তৎপর রয়েছেন। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে অত্যাচার আর জেল জুলুমের শিকার নেতাকর্মীরা এখন কর্মোদ্যম নিয়ে কাজ করছেন। ফলে দুর্গাপুরে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে।
দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সম্মেলন ঘিরে ত্যাগী নেতাকর্মীরা নতুন করে স্বপ্ন আর আশার জাল বুনছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সুসংগঠিত করে জনগণের দোরগোড়ায় যেতে এখন থেকেই একটু একটু করে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছেন। বিগত সময়ে নির্যাতন আর হামলা-মামলার শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের চিন্তায় এখন দলকে আরো বেশি জনবান্ধব করা। তাই এই সম্মেলন ঘিরে আশার প্রদীপ জ্বল জ্বল করছে কাঙ্খিত পদ প্রার্থীদের মধ্যে। শীর্ষ দুই পদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে এবার আলোচনায় থাকছে অনেকের নাম। তৃণমূলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা বলছেন, তারা সৎ-যোগ্য-ত্যাগী ও দুঃসময়ে দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ নেতাকেই এই পদে দেখতে চান।
দলীয় সূত্র জানায়, দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সর্বশেষ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিলো ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন দলের আহবায়কের দায়িত্ব পান আতাউর রহমান ফরিদ। কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান হারেজ গণি।
পৌর বিএনপির আসন্ন সম্মেলন ঘিরে কাঙ্খিত পদ প্রার্থীরা ইতোমধ্যে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন। দলের জন্য নিজেদের নিবেদন তুলে ধরছেন। এছাড়া সামনের কর্মপরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করছেন তারা।
দলীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়,বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক দিক নির্দেশনায় দুর্গাপুর বিএনপির নেতাকর্মীরা দলকে এগিয়ে নিতে সদা প্রস্তুত। এই সম্মেলনে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনে তার পরামর্শ অন্যতম ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন তারা।
দলীয় সূত্রে আরও জানা যায়, বিএনপি’র তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পছন্দের ব্যক্তিরা ভোটের মাধ্যমে দুর্গাপুর পৌর বিএনপির দায়িত্বে আসুক, এমনটাই চাওয়া এই কেন্দ্রীয় নেতার। সকলের অবস্থান থেকে দলকে সুসংগঠিত করাই মূল লক্ষ্য। যেটি এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে।