ইবি প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মিষ্টি বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইবি শাখা।
রবিবার(১১মে) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মত্বত্ত অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা শেষে মিষ্টি বিতরণ করেন তারা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহকে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট। মিষ্টিমুখ করানোর সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম, ধর্মত্বত্ত অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক ও লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের সভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। এ সময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদকেও মিষ্টিমুখ করান এস এম সুইট।
জানা যায়, শনিবার রাত ১১ টার দিকে গণহত্যার বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল মধ্যরাতে আনন্দ মিছিলও বের করেন তারা। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ক্যাম্পাসজুড়ে মিষ্টি বিতরণ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন,‘আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় দলটির বিচার শুরুর অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমরা ইদের দিন হিসেবে দেখছি। সেজন্যই আমরা ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেছি। তবে একই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলতে চাই , অতীতে দেখেছি জুলাই ঘোষনাপত্র নিয়ে সময় ক্ষেপণ করার কারণে জন আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে,অনতিলম্বে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষনাপত্র কার্যকর করা হয়।’
ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এদেশের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করে এসেছে এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ, জুলাই আন্দোলনের পর এদেশের মানুষের প্রাণের দাবি ছিল আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করা।গতকাল আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই খুশিতে ক্যাম্পাসে সবার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। এটা আমাদের কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশনা নয়।আমরা নিজ উদ্যোগে ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করেছি।’