দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দূর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বারোমারী-লক্ষীপুর গ্রামের আদিবাসী ও মুসলিম শিশুদের পড়াশোনার একমাত্র ভরসা হচ্ছে ‘‘প্রকৃতির পাঠশালা’’। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স করা নাজমুল তুহিন বিনা পারিশ্রমিকে শিশুদের লেখাপড়া করিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (০৮ মে) ওই গ্রামে স্থাপিত প্রকৃতির পাঠশালায় গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

আশপাশের গ্রামগুলো থেকে আসা গারো, হাজং ও মুসলিম জনগোষ্ঠির প্রায় ৫০ জন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশুরা এখান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠ নিচ্ছে। এ কার্যক্রমে সন্তোষ্টি প্রকাশ করে কেউবা জায়গা কিনে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের জন্য জায়গা। সেইসাথে গ্রামের সকলে মিলে পাঠশালার জন্য টিনের ছাউনি দিয়ে বানিয়েছেন একটি ঘর। পাঠশালার পরিধি বাড়াতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন নাজমুল তুহিন।

জানা যায়, গ্রামটিতে গারো, হাজং ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস। কৃষিপ্রধান এসব পরিবারের অনেক শিশুই পুঁশিগত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া পরিবারগুলোর শিশুদের জন্য আশপাশের এলাকেতে নেই কোনো সরকারি বা বে-সরকারি বিদ্যালয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এগিয়ে আসেন সুদুর ঢাকা থেকে নাজমুল তুহিন নামের এক যুবক। তিনি ওই এলাকার প্রকৃতিকে ভালোবেসে, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রায় ৫ বছর আগে ওই গ্রামেই গড়ে তোলেন এই প্রকৃতির পাঠশালা।

আশেপাশের শিশুরা প্রতিদিন সকালে পড়তে আসে পাঠশালাতে। এখানে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বইয়ের পাঠগুলো শিক্ষা দেওয়া হয় শিশুদেরকে। প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য রাখা হয়েছে একজন অতিরিক্ত শিক্ষক। আর্থিক সংকটের জন্য নিভু নিভু অবস্থায় চলছে স্কুলটি। বর্তমানে অর্থের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

এ নিয়ে নাজমুল তুহিন বলেন, এই বাচ্ছা গুলো আমার সন্তানের মতো। আমার স্বাধ আছে কিন্ত কোন সাধ্য নাই। এই বাচ্চাগুলো আগে স্কুলে ভালো রিজাল্ট করতো না। আমি চার পাঁচ বছর ধরে এখানে বিনা পারিশ্রমিকে শুরু করি এই পাঠশালা। কোনদিন একবেলা, কোনদিন দু’বেলা খেয়ে তাদের পিছনে শ্রমদিয়ে যাচ্ছি। ওরা এখন নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। স্কুলের ফলাফলও ভালো করছে। স্কুলের পরিধি বাড়াতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

জমিদাতা রজনী কান্ত হাজং বলেন, ছোটবেলা আমার বাবা মারা গেছেন। অভাবের জন্য পড়াশোনা করতে পারিনি। পরবর্তিতে খুব কস্ট করে স্মাতক পাশ করেছি। পিছিয়ে পড়া শিশুদের কথা ভেবে আমি ওই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাঠশালার জন্য জায়গা কিনে দিয়েছে। এর সমৃদ্ধির জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।

উপজেলা নিবাহী অফিসার নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, শিশুরা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাদের উজ্বল ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষিত করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। প্রকৃতির পাশে গড়ে ওঠা পাঠশালায় ইতোপুর্বে কিছু সহায়তা করেছি। পাঠদান সহজ করার জন্য প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন থেকে আরো সহযোগিতা করা হবে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version