জয়পুরহাট সংবাদদাতাঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের শালপাড়া বাজারে নিম্ন মানের খোয়া বালু ব্যবহার করে হাট সেডের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।
নিয়মানুযায়ী উপজেলা প্রকৌশল অফিসের একজন তদারককারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রকল্প কাজ করার কথা থাকলেও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন সেটি না করে এক রাতের মধ্যেই হাট সেড ঘরের ঢালাই ও প্লাস্টারের কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। এ কারণে কাজের মান নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
ইউপি সদস্যের দাবী প্রকৌশল অফিসের লোকের উপস্থিতিতে কাজটি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এখানে কোন নিম্ন মানের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়নি। চলমান কাজ সমাপ্ত করার জন্য রাত ৮ট পর্যন্ত করা হয়েছে।
প্রকল্প তদারককারী কর্মকর্তা বলছেন রাতে কাজ করার বিষয়টি তার জানা নেই।
স্থানীয় ইউপি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গত ১৪৩০- ১৪৩১ বাংলা সনের স্থানীয় হাট বাজার ইজারা মূল্যের ৫℅ হিসাবে
আয়মারসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ ১২ লক্ষ ১৫,৫৭৬ টাকা বরাদ্দ প্রাপ্ত হোন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ উক্ত বরাদ্দ হতে শালপাড়া বাজারে একটি হাট সেড নির্মাণের জন্য ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ব্যয় নির্ধারণ ও ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন কে পিআইসি করে প্রকল্প পাস করেন। এরপর উক্ত বাজারে সেড নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তুু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কাজটি শেষ করতে না পারাই গত ৪ মে রোববার বিকেলে প্রকল্প তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে আবারও কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যার আগে তিনি কাজ বন্ধ রেখে চলে গেলে প্রকল্প চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন তরিঘড়ি করে
কাজ শুরু করে সারা রাত ও পরদিন সোমবার দুপুর পর্যন্ত একাধারে সেডের মেঝে ঢালাই ও প্লাস্টারের কাজ শেষ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেডের ঢালাই ও প্লাস্টারের কাজে ব্যবহার করা অতিরিক্ত নিম্ন মানের খোয়া ও বালু গুলো অন্যত্র সড়ানো হচ্ছে। যা কাজের অনুপযোগী বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় চাঁদপুর গ্রামের রুবেল হোসেন, মুদি ব্যবসায়ী বাবু আকন্দ সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, রবিবার বিকেল থেকে সারারাত ও পরের দিন সোমবার দুপুর পর্যন্ত একাধারে সেডের ঢালাই ও প্লাস্টারের কাজ চলে। সরকারী কাজ রাতের আধারে করার নতুন নিয়ম দেখলাম।
ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টন বলেন, কাজটি নিম্ন মানের খোয়া ও বালু দিয়ে হয়েছে কিনা জানি না। তবে রাতে কাজ করার বিষয়টি স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি আমাকে ফোনে ও মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশল অফিসের প্রকল্প তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, আমি সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলাম। আসার সময় সামান্য কাজ বাঁকী ছিলো। তা পরের দিন করার জন্য বলে আসি।