নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সালমান রহমান পল্লবকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দল থেকে বহিস্কারাদেশ প্রদান করা হয়।
বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত প্রেসক বিজ্ঞপ্তি থেকে বহিস্কারের তথ্যটি জানা গেছে।
নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহাবুব চৌধুরী পূর্বধলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সালমান রহমান পল্লবকে দল থেকে বহিস্কার ও প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির পূর্বধলার ছাত্রদলে আহবায়ক সালমান রহমান পল্লবকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। সেই সাথে ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে বহিস্কৃত সালমান রহমান পল্লবের সাথে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এরআগে এক নারীকে শ্লাতাহানির অভিযোগ আনান করে পূর্বধলা ছাত্রদলের বহিস্কৃত আহবায়কের ছবিসহ মো. সালমান রহমান পল্লবের বিরুদ্ধে একইদিন বিকেলে ৩টার দিকে ফেসবুকে পোষ্ট দেন হেফাজত ইসলামী কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী তার পোষ্টে লিখেন, ‘আমি স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ’ বলার মতো কোনো ভাষা নেই। এসব কথার কারণে আওয়ামী লীগের লোকজন হয়তো হাসাহাসি করবে। কিন্তু বাস্তবতা তো এড়িয়ে যাওয়া যাবে না!
তিনি লিখেন, আমার এক চাচাতো ভাই তার ভাতিজিকে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। সে নিজে প্রাইভেটকার চালক, আর মেয়েটি পিছনের সিটে শুয়ে ছিল। মেয়েটি বিবাহিত। পথে পূর্বধলা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক পল্লব ও তার দলবল মিলে শ্যামগঞ্জ বাজারে গত রাতে ২০-২৫ জনের একটি দল গাড়ি থামিয়ে টেনে হিঁচড়ে মেয়েটিকে নামিয়ে শ্লীলতাহানি করে। তারা মেয়েটিকে চড়থাপ্পড় মারে এবং জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
তিনি আরও লিখেন, আমার ভাই তাদের থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। মেয়েটিকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করি। পূর্বধলা থানার ওসি ঘটনাস্থলে গেলেও, আমি ফোনে থাকার সময়ও দেখেছি, ওসির সামনে আমার ভাইকে হুমকি ও গালাগালি করা হচ্ছে এবং আঘাত করা হয়েছে!
পল্লবসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের উপযুক্ত বিচার দাবিসহ একই সঙ্গে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেই পূর্বধলা থানার ওসিকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। মাগরিবের পরে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে ফেসবুক পোষ্টে লিখেন হেফাজত নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী।