নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনায় পূর্বধলায় পূর্বশত্রুতাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম আজাদ (৪৫) নামে এক গণমাধমকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুল মন্নানের ছেলে রুহুল আমিন (২৫), মৃত শহর আলীর ছেলে আব্দুল মন্নান (৫৫) ও আব্দুল হাসিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫)। তারা সকলে উপজেলার খারছাইল গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়াও এ মামলায় অন্যান্য এজাহারনামীয় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- আবুল হাসেমের ছেলে দুই ছেলে মো. দ্বীন ইসলাম (৩৫) ও মো. তরিকুল ইসলাম (৩০), মৃত শহর আলীর তিন ছেলে মো. রেনু মিয়া (৪২), মো. ইছব আলী, (৫৮) ও আ. রহমান (৫৩), আ. কুদ্দুসের ছেলে মাহাবুবু হাসান শহীদ (৩৫) এবং ইছব আলী ছেলে মো. আব্দুল আলী (৩৮) ও আ. রহমানের ছেলে আল আমিন (৩৫)।
আহত গণমাধ্যমকর্মী আবুল কালাম আজাদ একই গ্রামের মৃত হোসেন আলী ছেলে। তিনি ঢাকায় স্বাধীনতা ডটকম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন।
এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী মোসা. নাজমা আক্তার বাদী হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত বেআইনি জনতাবদ্ধে পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে জখমসহ হাড়ভাঙ্গা ও কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম এবং চুরি ও হুমকি দেওয়ার অপরাধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো আট-দশজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, গত শনিবার রাতে আহত আবুল কালামের স্ত্রীর মামরা দায়ের করার রাতেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত তিনজনকে আজ (রবিবার) দুপুরের দিকে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভু্ক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ স্বাধীনতা ডটকম নামক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের স্টাফ রিপোর্টার। তিনি অধিকাংশ সময় ঢাকা শহরে থাকেন। মাঝে মধ্যে ভুক্তভোগী গ্রামে এসে সামাজিক সালিশ বৈঠক করেন। এনিয়ে এজাহারভুক্ত আসামিদের সাথে ভুক্তভোগীর পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার (২ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে আবুল কালাম স্থানীয় দেওটুকোন বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরতেছিলেন।
এসময় পূর্বধলা-দেওটুকোন সড়কের খারছাইল মধ্যপাড়া ফিরোজ খানের দোকানের সামনে আসলে প্রতিপক্ষ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর পথরোধ করেন। পরে ভুক্তভোগীকে লোহাল শাবল, রড, কিরিচ ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন অভিযুক্ত আসামিরা। ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
চিৎকারে স্থানীয়রা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে প্রথমে পূর্বধলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে আবুল কালামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ার মমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মামলার এজাহারে এসব তথ্য উল্লেখ রয়েছে।