ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরাসরি রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির দাবি, ঈদের আগেই নতুন ট্রেন চালুর জোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা স্মারকলিপি এবং সচিব ও মহাপরিচালক, রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুলিপি প্রদান কারা হয়েছে।
কৃষিনির্ভর ও সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে সরাসরি আন্তঃনগর রেল সংযোগ সম্প্রসারণ। বর্তমানে একমাত্র বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিই এই রুটে চলাচল করলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল—বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীরা প্রতিদিন রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য জেলায় যাতায়াত করেন। কিন্তু, পর্যাপ্ত সরাসরি রেলসংযোগ না থাকায় তাদের রাজশাহীতে গিয়ে ট্রেন পরিবর্তন করতে হয়, ফলে সময়, অর্থ ও নিরাপত্তা—সবকিছুর ক্ষেত্রেই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। জেলা বাসিন্দারা জানান, রাজশাহীগামী ট্রেন ধুমকেতু, সিল্কসিটি, পদ্মা ও মধুমতি একযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হলে, যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে। ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীচাপ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তাই, ঈদের আগেই দ্রুত এই ট্রেনগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি ও বাণিজ্যে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। এখানকার সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়। এছাড়াও, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম, ধানসহ কৃষিপণ্য ঢাকায় সরবরাহের জন্য রেলযোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটনের দিক থেকেও জেলার রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব—ছোট সোনামসজিদ, তোহাখানা, চামচিকা মসজিদসহ বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলরত ট্রেনগুলো ঈদের আগেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হলে এটি জেলার লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।” তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজউক এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম,সমিতির প্রচার সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম ও মানবাধিকার কর্মী রবিউল ইসলাম প্রমূখ