বিপ্লব হোসেন, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে (সম্মান)শ্রেনীতে ১ম বর্ষের (বাণিজ্য) সি ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ লাঘবে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইবি শাখা।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল আটটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ৪নং স্টলে অবস্থান করে সংগঠনটি। এসময় পরীক্ষার্থীদের হাতে কলম, চকলেট ও তাদের সাথে অভিভাবকদের জন্য বিশুদ্ধ পানি,খাবার স্যালাইন, ফার্স্ট এইড কর্ণার, লাইব্রেরী,অভিভাবক কর্ণারসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ও অন্যান্য সেবার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া সংগঠন সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে ছাত্রশিবিরের পরিচিতি উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
জানা যায়, বেলা ১১টা হতে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি একাডেমিক ভবনে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল, ঘড়িসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী সংরক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের জন্য সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় থাকে সংগঠনটি। সংগঠনটির এমন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে মুগ্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইবি শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, পরীক্ষার্থীদের জন্য আমরা বিশুদ্ধ পানি, কলম ও চকলেটের ব্যবস্থা করেছি। অভিভাবকদের জন্য বিশ্রামাগার ও ছোট একটা লাইব্রেরীর ব্যবস্থা করেছি যেখানে তারা এই দুই- তিন ঘণ্টা সময়টাকে বই পড়ে ব্যয় করতে পারবে।এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পত্র আমাদের এখানে রেখে যাওয়ার সুযোগ আছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানাই আমাদের এই সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য। ক্যাম্পাসের সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন প্রতিযোগিতামূলকভাবে কাজ করছে। এইজন্যই ক্যাম্পাসের পরিবেশটা এখনো স্বাভাবিক আছে এবং থাকবে বলে আমরা আশা করছি।ফ্যাসিবাদের পতনের পরেই আমাদের মুল লক্ষ্য ছিল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত হোক, শিক্ষার্থী বান্ধব কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হোক,ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত হোক, সেটাকে সামনে রেখে সকল সংগঠন ঐক্যমতের ভিত্তিতে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।এটাই হচ্ছে আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য।’