গোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের এসি (এয়ার কন্ডিশনার) দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লাইব্রেরির সমস্যা গুলো দ্রুত নিরসনের জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, লাইব্রেরির এসি দীর্ঘদিন নষ্ট থাকায় এই গ্রীষ্মে লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুরূহ হয়ে উঠেছে।এমতাবস্থায় লাইব্রেরিতে শীততাপ যন্ত্রগুলো পুন:স্থাপন করে আমাদের পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হবে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ দ্রুত সময়ের মধ্যে এসি ঠিক করে দেওয়ার।
এই বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ” শিক্ষার্থীদের পড়ার জন্য লাইব্রেরি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিতে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় তার ব্যাতিক্রম । এখানে পর্যাপ্ত সুবিধা নেই উল্টো যা আছে তাও ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না। এসি এতদিন ধরে নষ্ট তার জন্য আবার শিক্ষার্থীদের দাবি জানিয়ে ঠিক করতে হবে এটা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। আমি দাবি জানায় অতিবিলম্বে এসি সহ লাইব্রেরির সকল সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করে দেওয়ার। একই সাথে লাইব্রেরি সংষ্কার করারও দাবি জানায়। ”
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: এনামউজ্জামান বলেন, “ছাত্ররা নিয়ে এসেছিল,এটা একটু কারেকশন করতে বলছি।এটাতো এসির ব্যাপার, এটা যাবে হচ্ছে প্রশাসনিক বরাবর। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির যে কোনো বিষয় যাবে প্রশাসনিক বরাবর। এসির বিষয় যদি কোন নিয়োগ হয় শাস্তির বিষয় বা প্রমোশনের বিষয় সবগুলো যাবে প্রশাসন বরাবর তাই আমরা শিক্ষার্থীদের একটু কারেকশন করতে বলছি। লাইব্রেরিয়ানকে দিবে চিঠি এবং রেজিস্ট্রার বা অন্যান্যদেরকে দিবে অনুলিপ,এভাবে সংশোধন করতে শিক্ষার্থীদের বলছি। আর আমি লাইব্রেরিয়ান এর সাথে কথা বলছি এবং ভিসি স্যারও কথা বলছেন।দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলছি। চিফ ইঞ্জিনিয়ারের রুমে গিয়েও কথা বলে আসছি।”
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মোহাম্মদ নাছিরুল ইসলাম বলেন, “ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আজকে মিস্ত্রি এসে দেখে গিছে ওরা একটা হিসাব দিবে, আমি সেটার নোট দিবো তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভিসি স্যার আসছেন,কাল-পরশু ভিসি স্যার দেখবেন তারপর ব্যবস্থা হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পড়াশোনার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না নতুন ফ্যান লাগানো হয়েছে।”