নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মডেল মসজিদের সহকারি ইমাম হাফেজ মো. সাইদুর রহমান, মাওলানা শুয়াইব বিন মুজিব এবং মাওলানা তোফায়েল আহমদ হাবিবীর উপর সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্ত আসামি ইলিয়াস ও তার ভাই মেহেদী হাসানের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ২টার দিকে মোহনগঞ্জ উপজেলা চত্ত্বরে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
বিভিন্ন মসজিদের মুয়াজ্জিনগণের আয়োজনের মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি শামিম আহমদসহ এই মানববন্ধনে অংশ নেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মোহনগঞ্জ উপজেলার নবনির্বাচিত সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জামায়াতে ইসলামী মোহনগঞ্জ উপজেলার আমির কাজী মোফাজ্জল হোসেন সবুজ, হেফাজতে ইসলাম মোহনগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম, হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের সভাপতি হাফেজ কারী মাসুম বিল্লাহ, মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আখতারুজ্জামান, দেওথান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হাবিবুল্লাহ, নওহাল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কামাল আল হাদী, বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাসউদ আহমদ, রেলওয়ে ষ্টেশন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা তানভীর আহমদ, মুয়াজ্জিন শাহাদাত হোসেন বাচ্চু মিয়া, সাতুর রোড জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আরিফ আহমদ ইমন, টেংঙ্গাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল বাশার, পৌর সভা মসজিদের মুয়াজ্জিন আফজাল হোসাইন, উপজেলা মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ রিয়াজুল ইসলাম, সম্মিলিত উলামা পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা মুনতাসীর আল মামুন, ইকরার পরিচালক মাওলানা সাজ্জাদুল করিম, দারুল আরকামের পরিচালক হাফেজ ইমাম হোসেন, যুব জমিয়ত নেতা মাওলানা তোফায়েল আহমদ হাবিবী, মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ হারুনী, আলমগীর হোসাইন চৌধুরী, ছাত্র জমিয়ত নেতা নাজমুল হক, নিয়ামুল হক লিয়ন, হাফেজ মাকসুদুল হাসান মাসুম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইলিয়াস বিগত দিনে ফ্যাসিবাদের সাথে আঁতাত করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে লোটপাটের শরিক ছিলো। জুলাই বিপ্লবের পরে সে দল পাল্টিয়ে গণঅধিকারে যোগদান করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ভিপি নুরের লোক পরিচয় দিয়ে সে বিভিন্ন জনকে হুমকি ধমকি দিয়ে আলোক দিয়া, মোহনগঞ্জ শহরের কয়েকটি স্থানে উঠতি বয়সি ছেলেদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে মহড়া দিয়েছে। গত ৭ এপ্রিল মোহনগঞ্জ বড় মসজিদের গেইটে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মুসল্লীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুশিয়ারি দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মোহনগঞ্জ থানার ওসিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। পরবর্তী কর্মসূচির জন্য আগামি (শুক্রবার) পরামর্শ বৈঠক এবং আগামি রবিবার জেলা হেফাজতের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান বক্তারা।