নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক মনোমুগ্ধকর ও হৃদয়ছোঁয়া বাঙালিয়ানার মিলনমেলায়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর ও স্মরণীয়।
“মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা”- এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শুরু হয় নববর্ষের বরণ। অনুষ্ঠানস্থল ছিল রঙিন বাঙালিপনার ছোঁয়ায় সজ্জিত। ঐতিহ্যবাহী বিন্নি ধানের খই, আর গ্রামীণ আবহ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্থানীয় ও আমন্ত্রিত বিশিষ্ট শিল্পীরা। যারা বৈশাখী গান, কবিতা ও লোকজ সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার মাধ্যমে বাঙালি ঐতিহ্যের এক জীবন্ত চিত্র তুলে ধরেন। গান আর আলোচনায় উঠে আসে বাংলা সংস্কৃতির গভীরতা, শেকড় ও চেতনাবোধ।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ কেবল একটি দিন নয়, এটি একটি আত্মপরিচয়ের উৎসব। এই দিনে জাতি তার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও দেশপ্রেমের শেকড়ে ফিরে যায়। তারা আরও বলেন, নতুন বছর যেন সবার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে।
একটি এমন চমৎকার ও সফল আয়োজন করেন কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সেলিম। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ আয়োজন সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। প্রশংসার দাবি রাখেন তারা।
নববর্ষের এ আয়োজনে যেভাবে বাঙালি সংস্কৃতি, সৌহার্দ্য ও আনন্দ একত্রে মিশে যায়, তা ছিল প্রশংসনীয়। অনুষ্ঠান শেষে সবাই একে অপরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।