কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: “শহীদ জিয়া অমর হোক, বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ” এই শ্লোগানে নেত্রকোনার মদন উপজেলা বিএনপি’র ত্যাগী নেতা ও কর্মীবৃন্দের ব্যানারে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নূরুল আলম তালুকদার ওরফে আলম চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান ও বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় মদন পৌরশহরের সিলেট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বিক্ষো মিছিল বের শুরু হয়। পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানেসামনে মানবন্ধন করেন বিক্ষোভ মিছিলের অংশগ্রহণকারীরা।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারে আমলে মামলা হামলায়গত ১৫ বছরে বিএনপির কোন নেতাকর্মীরা ফেরারি জীবন যাপন করেছেন। সে সময়ে কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতাদের সাথে বিভিন্ন সভা ও পদযাত্রায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলম অংশগ্রহণ করেছেন।
আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বিগত বছরগুলোতে আলম চেয়ারম্যানের বক্তব্যের উক্তি লেথা, যেমন- আওয়ামীলীগের সাংসদ সাজ্জাদুল হাসান সংযোগের সময় ”সাজ্জাদ ভাই এগিয়ে চলো আমি আছি তোমার সাথে”, সাজ্জাদুল হাসান এমপির জনসভায় প্রথম সারির আসনে বসে “ভাই আমি আছি চিন্তা নাই“, আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শফি আহমেদের সাথে বসে “আমি আইছি দেইখ্যা নেতা কি গোস্বা করছেন” এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে গোপনে ইফতারের ছবি সম্বলিত অনেক ধরনের পোষ্টার বহন ও প্রদর্শন করেন বিক্ষোভ মিছিলে ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান সম্রাট, শেখ বদরুজ্জামান মানিক, আবু তাহের আজাদ, ফজলে এলাহী টুটন, কামরুল হাসান , আল মুনসুরসহ বিএনপির আরো অনেক ত্যাগী তৃণমূল নেতৃবৃন্দ ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান মদন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তারা দুজনে আওয়ালীগ নেতাদের সাথে লিয়াজো করে ব্যাপক অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন। বিগত দিনে আওয়ামী বিরোধী কোন আন্দোলন কর্মসূচী দিলে তারা দুজনের বিভিন্নভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিভৃত করে রেখেছেন। বিএনপি’র ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করাসহ ৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তন না হলে আওয়ামীলীগে যোগদানের বিষয়টি পাকা পোক্ত করে রেখেছিলেন আলম চেয়ারম্যান।
বক্তারা আরও বলেন, পট পরিবর্তনের পর এখন এই দুই নেতা কট্টর বিএনপিপন্থী সেজে এখন প্রশাসনের সাথে লিয়াজো করে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করছেন। আলম চেয়ারম্যান কাকে মামলায় ফাঁসাবেন এবং কাকে মামলার বাহিরে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে তা তিনি ঠিক করেন।
বিএনপির ভাবমূর্তি রক্ষার্থে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অতিদ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে মদন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান ও বহিস্কারের জোরালো আহবান জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা।