টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
একই দিনে, ১১ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ২ ঘন্টায় পরপর ২ বার বলৎকারের অভিযোগে রুমন কে গ্রেফতার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বাবনাপাড়া গ্রামের মদিনাতুন উলুম আমিনিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মক্তব তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী মো. শামীম হোসেন (১১) কে বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. রফিকুল ইসলাম আমিনীর ছোট ছেলে মো. রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে রুমন (২০) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী শামীম, উপজেলার ভাতশালা গ্রামের প্রবাসী ইমারতের ছেলে। ভুক্তভোগীর মা মোছাঃ ছাবিনা আক্তার (৩৭) গতকাল রাতে থানায় এ বিষয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। শামীম বাবনাপাড়া সাকিনস্থ মদিনাতুন উলুম আমিনিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মক্তব তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রফিকুল ইসলাম আমিনী এর ছোট ছেলে মো. রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে রুমন (২০) গতকাল ১০ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় রুমনের পিঠ টিপাতে ডেকে, অফিস রুমে নিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বলৎকার করে শামীমকে। কাউকে কিছু না বলার হুমকি দেয়, রুমন। পরে গোসল করতে বলে ভুক্তভোগীকে। এর পর আবার দুপুর ২ টার দিকে একইভাবে পুনরায় শিশুটিকে বলৎকার করে রুমন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে নাগরপুর থানা পুলিশ এবং অভিযান পরিচালনা করে আসামী মো. রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে রুমন (২০) কে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রুমন। মো. রিজওয়ান উদ্দীন রুমন ঢাকার ধামরাইয়ের ডাউটিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। ১১ এপ্রিল শুক্রবার সকালে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করেছে থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, আমারা নাগরপুর থানা পুলিশের তৎপরতায় অবাক। অভিযোগ পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করেছেন থানা পুলিশ। এর আগে আমরা এমন ঘটনা কখনো দেখা তো দূরের কথা, শুনিনি। এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই, টাঙ্গাইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান স্যারের দিকনির্দেশনায় তদন্ত শুরু করি এবং ১১/০৪/২০২৫ ইং তারিখের ৭ নং ক্রমিকে মামলা দায়ের করে, আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।