নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বাবার বিরুদ্ধে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে দিবাগত রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত বাবা (৫৫) উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানির পর থেকেই অভিযুক্ত বাবা গা ডাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলায় ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেন, তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তার স্বামী (মেয়ের বাবা) দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত পাঁচ মাস আগে মেয়ের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ দিনের পরে একই রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে পরিবারের সবাইকে খুনের হুমকি দিতো অভিযুক্ত পিতা। প্রাণ ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি ধর্ষণের স্বীকার হওয়া মেয়ে।
তবে ঘটনার প্রায় এক মাস যেতেই মেয়ের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গর্ভবতী মেয়েদের মতো বারবার বমিসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে বাবা দুর্গাপুর ফারিহা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। পরে মেয়ের গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে মেয়েকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সকলের অজান্তে গর্ভপাত ঘটান মেয়েকে।
স্বজনরা জানান, মেয়ে গর্ভপাতের পর একটু সুস্থ্য হওয়ার পর আবারও ভুক্তভোগী মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা চালায় তার বাবা। পরবর্তিতে ওই মেয়ে বিষয়টি তার বড় বোনকে জানালে সে পরিবারের অন্যদের বলে দিলে ধর্ষণের বিষয়টি এরপরই জানাজানি হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলেন, আমার স্বামী আমার সাথে রাতে ঘুমাতো কিন্তু রাতে আমার ঘুম ভাঙলে আমি তাকে বিছানায় পেতাম না। এখন কয়েকদিন হইছে এ ঘটনা আমার বড় মেয়ের কাছ থেকে শুনছি। আমি এইসব নিয়ে কথা বলতেও পারি না আমাকেসহ ভুক্তভোগি মেয়েকে চোরের মতো মারধর করে। এই ঘটনার সাথে আমার সতিনও জড়িত আছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি সত্যিই হৃদয় বিদারক। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।