কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকুকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ। তিনি ৫ আগষ্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর গত সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে বাসায় ফিরেন। ওইদিনই দিবাগত মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেত্রকোনা জেলা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং মোটরসাইকেল পুড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় টুকুকে গ্রেফতারের করা হয়েছে এবং তিনি সিরাজগঞ্জসহ নেত্রকোণা সদর থানায় ছয়টি মামলার এজাহারনামীয় আসামি বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত জেলা আ.লীগ নেতা টুকু নেত্রকোনা পৌরশহরের মসজিদ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত গাজী মোশারফ হোসেনের ছেলে। তিনি ছাত্র জীবন থেকে আ.লীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেআইনিভাবে মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি চাকরিজীবিকে মারধর ও অর্থে ক্ষতি সাধনের অপরাধে নেত্রকোণা সদর থানায় দুইটি এবং সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি টুকু। এছাড়াও নেত্রকোনা সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা আরো দুইটি মামলার এজাহারনামীয় আসামিও তিনি।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, জেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর, অগ্নিযোগের দায়ে ব্রাহ্মনমোহা গ্রামের তারেক মিয়ার দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আ.লীগ নেতা টুকুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতু ও নেত্রকোণা সদর থানায় ছয়টি মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে গ্রেফতারকৃত আসামি জেলা আ.লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকুকে জেলা আদালাতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।