নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় খামারের পাহারাদারকে হত্যা করে সাত গরু লুটের ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- শ্রী কৃষ্ণ দাস (৪২), মো. মিন্টু মিয়া (৩২), মো. হুকুম আলী (৫৭), ফজলু মিয়া (৪৫), মো. ইউনুস আলী (৪৫)। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক, গরু বাঁধার রশি, সেলাইস, স্টিলের কাটার, চাইনিজ কুড়াল, দা, স্টিলের ছুরিসহ বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
সোমবার (২৪ মার্চ) নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সপারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মীর্জা সায়েম মাহমুদ এতথ্য জানান।
এর আগে.গত রবিবার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যদেরকে গাজীপুর মহানগরে বিভিন্ন থানা ও সিরাজগঞ্জ জেলার সদরের থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ৫ মার্চ রাতে জেলার দুর্গাপুরে ‘হাবিবুল্লাহ ফিশারিজ এন্ড ডেইরি ফার্মের পাহারাদার জয়নাল উদ্দিনকে হত্যা করে সাতটি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। এ ঘটনায় থানায় হত্যা ও ডাকাতির মামলা হয়।
এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে গত ১০ মার্চ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের আরও পঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক, গরু বাঁধার রশি, সেলাইস, স্টিলের কাটার, চাইনিজ কুড়াল, দা, স্টিলের ছুরিসহ বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এই মামলায় মোট আটজন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতার ও ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত ৫ মার্চ রাতে জেলার দুর্গাপুরে ‘হাবিবুল্লাহ ফিশারিজ এন্ড ডেইরি ফার্মের পাহারাদার জয়নাল উদ্দিনকে হত্যা করে ৭টি গরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। এ ঘটনায় ১০ মার্চ দুর্গাপুরের কাকৈরগড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব (বর্তমানে বহিস্কৃত) মো. আব্দুল আওয়ালসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যে গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে আরও পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।