নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রেমিকার বাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রেমিকের ক্রমাগত হুমকির পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মৃত ফজলে এলাহীর পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, তার দুই ছেলে আরিফুজ্জামান ও সোহেল রানা এবং এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে আরিফুজ্জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ছোট ছেলে ময়মনসিংহ শহরে পড়াশোনা করছে। তাদের বাবার মৃত্যুর পর, দুই ভাই বোনের বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পরিবারটি একের পর এক উড়ো চিঠির মাধ্যমে হুমকি পেতে থাকে। চিঠিতে লেখা হয়, বোনের বিয়ে যদি অন্য কোথাও হয়, তবে পরিবারটির ওপর ভয়ানক বিপদ নেমে আসবে।
সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে এ রকম তিন-চারটি হুমকিপূর্ণ চিঠি পাঠানো হয়। পরিবারটি চিঠিগুলোকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ঘটে যায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা। ফজলে এলাহীর বাড়ির কাচারি ঘরে কারা যেন পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হলে দ্রুত পুরো ঘরটিকে গ্রাস করে। আগুনে পুড়ে যায় ঘরে থাকা সব আসবাবপত্র, পরিবারের দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র ও একটি মোটরসাইকেল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় চার-পাঁচ লক্ষ টাকা বলে জানান ফজলে এলাহীর ছোট ছেলে সোহেল রানা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত হুমকির মুখে ছিল তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উড়ো চিঠির লেখাগুলোতে উল্লেখ ছিল, প্রেমিকা অন্য কাউকে বিয়ে করলে তাদের বিপদ আসবে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরটিতে মূল্যবান আসবাবপত্র, পরিবারের দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র এবং একটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। আগুনের ফলে পরিবারের সদস্যরা আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে । পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
এ ধরনের হুমকি ও প্রতিশোধমূলক আচরণে এলাকায় একধরনের ভীতি কাজ করছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
ফজলে এলাহীর পরিবারের ওপর প্রেমিকের এমন প্রতিশোধমূলক আচরণে স্থানীয় জনগণ উদ্বিগ্ন। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে এবং এলাকাবাসী নিরাপদে থাকতে পারে।