আরিফ শেখ, রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে মানসিক ভারসামহীন এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে । সাগর ইসলাম(২০) নামের এক যুবককে বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সাগরকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ, কিশোরীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কাজের তাগিদে ওই কিশোরীর বাবা সকালে বাড়ি বাইরে চলে যান।
দুপুরে তাঁর মা তাকে বাড়িতে রেখে রান্নার খড়ি সংগ্রহ করতে পাশের বাঁশ ঝাড়ে যান। এই সুযোগে ওই কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ ফাসিরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সাগর ইসলাম তাঁর মুখ চেয়ে ধরে ঘরে ভিতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে সাগর ইসলামকে নগ্ন অবস্থায় আটক করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে সাগর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সাগরকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে সাগর ইসলামকে জেল হাজতে পাঠান। সরেজমিনে সয়ার ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ ফাসিরডাঙ্গায় গিয়ে জানা যায়, ধর্ষক সাগর বেপরোয়া ও উশৃঙ্খল জীবনযাপন করে। সাগরের আপন মা দীর্ঘদিন থেকে কারাগারে রয়েছে ।
সাগরের পিতা আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান হত্যা মামলায় সাগরের মা প্রধান আসামি । শুই দিয়ে বিষ প্রায়োগ করে হত্যার সাজা হয়েছে সাগরের মায়ের। পিতা-মাতার এমন বিশৃংখল জীবনাচরণে বখে গিয়েছে বলে ওই এলাকার অনেকেই মন্তব্য করেন। ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। আমার মেয়েটার সর্বনাশ করে দিল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
উপযুক্তি শাস্তি চাই।’ ওই কিশোরীর মা বলেন, মেয়েটাকে বাড়ির উঠান ঝাড়ু দিতে বলে আমি রান্নার জন্য খড়ি কুড়াতে গেছিলাম। একা পেয়ে সাগর আমার মেয়েটার সর্বনাশ করেছে। আমরা গরিব মানুষ আমাদের দিকে একটু দেখেন, যেন সঠিক বিচার পাই।’ তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, হাতে নাতে আটক করে ওই যুবককে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা করেছে। আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে আসামী সাগর ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।