গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এক কৃষকের দুইশো ফিট ব্যবহৃত ড্রেন বন্ধ করে দিয়েছে একই এলাকার বাদশা মাসুদ ও তার ছেলে। এতে পানির অভাবে প্রায় ৯ বিঘা জমিতে চলতি মৌসুমে ইরি ধানের আবাদ লাগাতে পারছেনা সেই সাথে ধানের দুই বিঘা বীজতলা নষ্ট হয়ে হয়ে যাচ্ছে গরীব অসহায় বর্গাচাষি কৃষক আতোয়ার রহমানের আহাজারি । সুরাহার জন্য থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও মাস পেড়িয়ে গেলেও মেলেনি সুফল।
দিন কাটছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। সরেজমিনে,গিয়ে দেখা যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দেওগাও গ্রামের কৃষকের জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। জমি প্রস্তুত ও ধানের চারা বিজ রোপণ করলেও তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।,কিছু ধানের চারা গরুকে কেটে খাওয়ানো হয়েছে এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে ওই বর্গাচাষী কৃষক। এদিকে প্রতিপক্ষের ক্ষমতার দাপটে কৃষক আতোয়ার রহমান পানির অভাবে জমি লাগাতে না পাড়ায় পড়েছেন বিপাকে।
এতে কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় সারে চার লাখ টাকা বলে অভিযোগ তোলেন। সেচ পাম্প অবৈধভাবে বসিয়ে ড্রেন ব্যবস্থা বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় আতোয়ার রহমান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করলে পরবর্তীতে তদন্তের জন্য বিএডিসিকে নির্দেশ দিলে বিএডিসি কর্মকর্তার এর সত্যতা পাওয়ায় তার লাইসেন্স সাময়িক ভাবে স্থগিত করেন। এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব।
একপর্যায়ে এবং থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় তাদের এই বিরোধ’ এতেও কোন সুরাহা হয়নি স্থানীয় কৃষক শ্রী রবিদাস ফুলচানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,আতোয়ার ও বাদশা মাসুদ সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে তাই পানির ড্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। একই মহল্লার মসজিদের ইমাম হাবিজার রহমান বলেন মসজিদের জমি বর্গা নিয়েছে বাদশা মাসুদ কথা ছিল জমি সেচ পানি ড্রেন যাবে। কিন্তু তিনি এটা অন্যায় করেছেন ড্রেন বন্ধ করে পানির জন্য তার জমি লাগাতে পারছেনা সে গরীব তার ক্ষতি হবে ।
আতোয়ার রহমান নামের সেচ পাম্প মালিক জানায় দেওগাও মৌজায় শতাধিক কৃষকের বিএডিসি অনুমোদনক্রমে প্রায় ৯০ বিঘা জমির আওতায় পরে আমার গভীর নলকূপ ।এতে এসব জমিতে প্রতি ইরি মৌসুমে কয়েক হাজার মণ ধান হয়। ইরি মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকদের কথা বিবেচনা করে বিএডিসি ২টি গভীর সেচযন্ত্র স্থাপন করেছিল। তার মাঝেও সেচ পাম্প রয়েছে কিছু কৃষকের নিজ আবাদি জমি করার জন্য। থানাও বিভিন্ন অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ বছর আগে স্থানীয় আতোয়ার রহমান দেওগাও গ্রামে ব্লকে সেচকাজের দায়িত্ব নেন।
যার মাধ্যমে এখানকার কৃষকেরা ধান আবাদ করে আসছিলেন। গত দু বছর আগে একই এলাকার বাদশা মাসুদ নিজ নামীয় একটি সেচ পাম্প নিজ জমি করার জন্য চালু করলেও পরে শর্ত না মেনে ৮/৯ বিঘার বাহিরে ডিটিডাব্লু স্কীমের ভিতর সেচের পানি দেওয়া শুরু করে । যা কৃষি কাজে ভূ- গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৯ এর পরিপন্থী, এমতো অবস্থায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় পরবর্তীতে বাদশা মাসুদের লাইসেন্সটি ৮/১২/ ২০২২ ইং তারিখে কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৯” তফসিল১;শর্ত অনুযায়ী” স্থায়ী ভাবে বাতিল করে কতৃপক্ষ ।সেই ক্ষোভে তিনি এই কাজ করেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ জমিতে চলতি বছরের ইরি ধান লাগানোর জন্য ১০ হাজার টাকা খরচ করে ধানের চারা উৎপাদন করেছেন। ২০ হাজার টাকা খরচ করে গত ১ মাস আগে জমি পরিষ্কার, সার ও চাষ দিয়ে প্রস্তুত করেছিলেন।
তবে সেচের পানির ব্যবস্থা না থাকায় ধান লাগাতে পারেননি। এবিষয়ে প্রতিপক্ষ বাদশা মাসুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসিন সঙ্গে কথা বললে তিনি মোবাইল ফোনে জানান শর্ত অনুযায়ী গভীর নলকূপ দেওয়া হয়।সেখানে জানতে পারি কয়েক বছর আগে দুজন আপোষ মূলে নিচু জমিতে পানি দিবেন আতোয়ার, আর উচু জমিতে পানি দিবেন বাদশা মাসুদ।
কিন্তু আতোয়ার রহমান সেই নিয়ম না মেনে উচু জমিতে পানি দেয় মর্মে এই ঘটনা। আমি চেষ্টা করার পরও তারা সমঝোতায় আসেনি আমার কিছু করার নেই। স্থানীয় ভাবেই মিমাংসা করে নেওয়ার পরামর্শ দেন বলে মোবাইল ফোনে জানান ।