মাসুদ রানা,জবি প্রতিনিধি
পড়াশোনা কিংবা দৈনন্দিন প্রয়োজনের নানা তাগিদে নারীদের ঘরের বাইরে বের হতে হয় এবং গণপরিবহনে চড়তে হয়। গণপরিবহন ব্যবহারকারী বেশিরভাগ নারী কোনো না কোনো ভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়।
রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বেশ কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর কাছে গণপরিবহনে নারীদের ভোগান্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষ দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী জানান যে, “প্রতিনিয়তই গণপরিবহনে প্রাপ্ত বয়স্ক আংকেলদের কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।তারা ইচ্ছে করে গা ঘেঁষে দাঁড়ায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করে।” একই বিশ্ববিদ্যলয়ের অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন,”পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হয়ে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে আশেপাশের কাউকে সাহায্যের হাত বাড়াতে দেখিনি।সবাইকে মজা নিতেই দেখেছি শুধু।”
যারা বাড়িতে বউ বাচ্চা রেখে মেয়ের বয়সী মেয়েদের দিকে এভাবে নজর দেয় তাদের মস্তিষ্ক বিকৃত বলে মন্তব্য করেন শাহাদাত নামের এক শিক্ষার্থী। সম্প্রতি ব্র্যাক কর্তৃক প্রকাশিত ‘নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ নামক শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক,শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষদের দ্বারাই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বেশির ভাগ নারী।