কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় সেই যুবদল নেতা ফয়সাল আহমেদ খোকনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত যুবদল নেতা হলেন নেত্রকোনার মোহগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য সচিব।
শনিবার (১৫ মার্চ) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ড জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে মোহনগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ খোকনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তার কোন ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না।
গুরুতর আহত জসীম উদ্দীন মোহনগঞ্জের পানুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজধানীতে থাকা রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স আফিফ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারীভুক্তভোগী পরিবার সহ ঢাকায় বসবাস করেন।
গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের পাথরঘাটা এলাকায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ খোকনের নেতৃত্বে তার অনুসারী ১০-১২জন হামলায় অংশ নেন বলে জানান আহত জসীম উদ্দীনের স্ত্রী নিশা আক্তার।
তিনি আরও জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল নেতা খোকন ও তার সহযোগীরা জসীম উদ্দীনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ার তারা ক্ষিপ্ত হন। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে আমরা বাড়িতে আসি। শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে জুম্মার নামাজ শেষে আড়াইটার দিকে তার স্বামী মোহনগঞ্জ বাজারে যান ইফতার কিনতে। এসময় খোকন ও তার লোকজন রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে জসীমকে গুরুতর জখম করেন।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জসিম উদ্দনেকে প্রথমে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার্ড করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ময়মনসিংহ নিয়ে আনা হয়। পরে জসিম উদ্দীনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় মামলা করার কথা জানান ভুক্তভোগীর স্ত্রী।