জবি প্রতিনিধি:
প্যারেড আরামে দাঁড়াবে, আরামে দাঁড়াও, প্যারেড সাবধান হবে, সাবধান! প্যারেড ডানে ঘুরবে, ডানে ঘুর! প্যারেড বামে ঘুরবে, বামে ঘুর!”—ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এভাবেই প্রস্তুতি নেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ১ ব্যাটেলিয়ন ব্রাভো কোম্পানি রমনা রেজিমেন্টের অন্তর্ভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটুন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন নিয়মশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছেন বিএনসিসির ক্যাডেটরা।
পরীক্ষার ২ ঘন্টা আগেই কেন্দ্রে পৌঁছে তারা পরীক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে হলে প্রবেশ করাচ্ছেন। ভর্তি পরীক্ষা শুধু একজন শিক্ষার্থীর জন্য নয়, তার পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও এক চ্যালেঞ্জের বিষয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সমাগমে পরীক্ষার দিন ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয় ব্যস্ত পরিবেশ। শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধের অনুশীলন শেষে বিএনসিসি ছুটে যান নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে।
পরীক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে হলে প্রবেশ করানো থেকে শুরু করে, অসুস্থ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা, অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান রেখে চলেছে তারা। এ বছর চার ইউনিটে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে এসেছেন আরও দুই লক্ষাধিক মানুষ। এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরিচালনা করা কঠিন হলেও, বিএনসিসি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিএনসিসির খাকি পোশাকধারী সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও তারা অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের সহায়তা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাহায্য, এডমিট কার্ড দেখে পরীক্ষার রুম চেনানো এবং অভিভাবকদের অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে সহযোগিতা করছে। চলতি বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনসিসির জবি প্লাটুনের ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) তৌফিক হোসেনের নেতৃত্বে ৭টি প্লাটুন দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনসিসি ইনচার্জ তৌফিক হোসেন বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করছি। জবি বিএনসিসি প্রতিবছরই সুশৃঙ্খল থেকে পরীক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকে। আজকে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৩০ জন ক্যাডেট দায়িত্ব পালন করছে।
ভবিষ্যতেও আমরা একইভাবে দায়িত্ব পালনের আশা রাখি।” জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় বিএনসিসি, রোভার রেঞ্জারের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রক্টোরিয়াল বডির পাশাপাশি তারা মূল দায়িত্ব পালন করছে। সকলের সহায়তায় এবার আমরা সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি”