বিপ্লব হোসেন, ইবি প্রতিনিধি:
“এসো কুরআনের ছায়াতলে”-স্লোগানকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম অ্যালামনাই ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে থেকে বণ্যাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ। পরে মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দীন মিঝির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. শেখ মহিউদ্দিন। এছাড়াও বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকসহ সহস্রাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগের দিন থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকে বিভাগটির সাবেক শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পরে বিভাগটির সহপাঠী, বিভাগের সাবেক-বর্তমানদের মিলনমেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে ক্যাম্পাসে। দীর্ঘদিন পর মিলিত হতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেন তারা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি। এছাড়া বক্তব্য রাখেন আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. তাহির আহমেদ, অধ্যাপক ড. এ এইচ এম ইয়াহিয়ার রহমান, অধ্যাপক ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, অধ্যাপক ড. লোকমান হোসেন, বিভাগের ১ম ব্যাচের ছাত্র অ্যালামনাই নাজমুল হক সাইদী, ডাঃ শফিকুর রহমান পাটওয়ারী ও বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, জুলাই আন্দোলনে অনেকেই চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়েছে, কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাদের সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি। মুক্ত বাতাসে পদচারণ করতে পারছি। সুতরাং তাদের কে ভুলে যাওয়া যাবে না। তাদের আত্মত্যাগ সফল করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অন্যায়কে মোকাবেলা করতে হবে। আল-কুরআন বিভাগ প্রথমবারের মতো আজকে মুক্ত ভাবে এ অনুষ্ঠান করতে পেরেছে। সুতরাং আপনারা আপনাদের এই সুযোগ ভালো ভাবে কাজে লাগাবেন। আপনারা যে জ্ঞান অর্জন করেছেন সেটাই পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা জ্ঞান। তাই আমি প্রত্যাশা করি মানুষ ও সমাজের কল্যাণে এ জ্ঞান বিতরণে আপনাদের প্রাণ নিবেদিত হবে।
এদিন মূল ও অ্যালামনাইদের আলোচনা সভা, ক্বিরাত সন্ধ্যা ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৯৮৫-৮৬ বর্ষে প্রথম যাত্রা শুরু হয় এবং বর্তমানে বিভাগটিতে ৩৮তম ব্যাচ অধ্যয়নরত। থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে এরই মধ্যে ৩৩টি ব্যাচ গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন।