ববি প্রতিনিধি
যথাযথ ভাব-গাম্ভির্য্যের মধ্য দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৯:০০ টায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শুচিতা শরমিনের নেতৃত্বে প্রভাত ফেরি সহকারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমবেত হন।
এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য মহোদয়। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন বিভাগ, হল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এদিকে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে এদিন সকাল ১০:৩০ টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শুচিতা শরমিন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য মহোদয় বলেন, আমরা যখন ভাষা দিবসের কথা বলি তখন অন্যভাষার প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয়। সে জায়গা থেকে আমাদের দেশে যত আঞ্চলিক ভাষা আছে, বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীয় ভাষা রয়েছে সেগুলোকে আমাদের সংরক্ষন করতে হবে। যা আমাদের সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাবে। নিজেদের দেশ, নিজেদের মানুষ হিসেবে আমরা যেভাবে বাংলাকে ধরে রাখব তার ভিতর দিয়েই বাংলা ভাষার প্রকাশ হবে।
তার ভিতর দিয়েই বাংলা ভাষার বিকাশ হবে। উপাচার্য মহোদয় আরো বলেন, উচ্চশিক্ষায় যত বেশি বাংলায় অনুবাদকৃত বই আমরা পাবো, উচ্চশিক্ষা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো সহজ হবে। যার ফলে উচ্চশিক্ষায় তারা আরো অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে পারবে। মহান শহীদ দিবস উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক এবং কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ তানভীর কায়ছারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন সরদার কায়সার আহমেদ, তাপসী রাবেয়া বসরী হলের প্রাধ্যক্ষ শারমিন আক্তার, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. গাজী জহিরুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা অফিসের পরিচালক সুজন চন্দ্র পাল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাইদুর রহমান ও আসমা খানম। ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রজ্ঞা পারমিতা বোসের সঞ্চালনায় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনায় এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়।